২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের খালাস বাতিল চেয়ে নিম্ন আদালতের রায় বহালের আবেদন জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ৬ সদস্যের বেঞ্চে টানা তৃতীয় দিনের মতো এ সংক্রান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ শুনানিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। তিনি হাইকোর্টের দেওয়া সব আসামির খালাসের রায় বাতিল করে ঢাকার বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা বহাল রাখার আবেদন জানান।
আদালত শুনানি শেষে আগামী বৃহস্পতিবার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
আসামিপক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, জয়নুল আবেদীন, কায়সার কামাল, মোহাম্মদ শিশির মনির, জায়াদ বিন আমজাদ ও মো. মাকসুদ উল্লাহ। এর আগে গত ২ জুন রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি দেয় আপিল বিভাগ।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার একটি বিচারিক আদালত গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এছাড়া ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
তবে ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে জানায়, মামলাগুলোর বিচারিক রায় “অবৈধ উপায়ে” দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সব আসামিকে খালাস দেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে রাষ্ট্রপক্ষ দুটি পৃথক ‘লিভ টু আপিল’ দায়ের করে, যা বর্তমানে আপিল বিভাগে শুনানির পর্যায়ে রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় দলটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং প্রায় ৩০০ জন আহত হন। হামলার ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের হয়, একটি হত্যা মামলা এবং অপরটি বিস্ফোরক আইনে।