উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি আবারও বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৯টায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
এর ফলে লালমনিরহাট ও নীলফামারীর নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৫টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসলের জমি।
ডিমলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, খালিশা চাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানীর বেশ কয়েকটি গ্রাম ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নেও পানি প্রবেশ করেছে।
বন্যার কারণে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। অনেক এলাকায় রান্না করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে, গবাদিপশুর খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এটি চলতি মৌসুমে তিস্তার তৃতীয় দফা বন্যা। তারা ত্রাণ নয়, বরং স্থায়ী সমাধান হিসেবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছেন।
পাউবো জানিয়েছে, আগামী দুই দিন ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকতে পারে, ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় তিস্তা ব্যারাজের সব কটি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাউবোর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী।