November 23, 2025, 11:18 pm

স্ক্রিন টাইমের ভয়াবহতা: শৈশবের ক্ষতি, ভবিষ্যতের ঝুঁকি

  • Update Time : Saturday, September 20, 2025
  • 26 Time View

আধুনিক প্রযুক্তির আশীর্বাদ হিসেবে মোবাইল বা অন্যান্য ডিজিটাল স্ক্রিন আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে তুলেছে। কিন্তু এই আশীর্বাদের একটি অন্ধকার দিকও আছে, যা আমাদের শিশুদের শৈশব ও ভবিষ্যতের ওপর ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শিশুদের অতিরিক্ত মোবাইল বা ডিজিটাল স্ক্রিন টাইম একটি বৈশ্বিক উদ্বেগ, যা তাদের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে মারাত্মক ক্ষতি করছে। এই ক্ষতিগুলো প্রায়শই দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং শৈশব পেরিয়ে তাদের প্রাপ্তবয়স্ক জীবনেও প্রভাব ফেলে। নিচে শিশুদের অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমের ক্ষতি, এর কারণ এবং এর ভয়াবহতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমের ক্ষতিকর প্রভাব

শিশুদের অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম তাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নেতিবাচক ছাপ ফেলে। এই প্রভাবগুলো নিম্নলিখিত প্রধান ক্ষেত্রগুলোতে লক্ষ্য করা যায়:

১. শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি: স্থূলতা এবং দৃষ্টিশক্তি হ্রাস

অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম শিশুদের মধ্যে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা তৈরি করে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক জায়গায় বসে বা শুয়ে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকায় তাদের শারীরিক কার্যকলাপের মাত্রা কমে যায়।

* স্থূলতা (Obesity): শারীরিক পরিশ্রম কমে যাওয়ায় ক্যালোরি কম খরচ হয়। একই সাথে, স্ক্রিনের সামনে বসে বা শুয়ে থাকার সময় প্রায়শই অস্বাস্থ্যকর জাঙ্ক ফুড বা উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ২ ঘণ্টার বেশি টিভি দেখা শিশুদের স্থূল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। স্থূলতা অল্প বয়সেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

* চোখের সমস্যা (Eye Strain and Myopia): স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো (Blue Light) এবং দীর্ঘ সময় ধরে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এর ফলে ডিজিটাল আই স্ট্রেন, শুষ্ক চোখ এবং মায়োপিয়া বা ক্ষীণদৃষ্টির মতো সমস্যা তৈরি হয়। কিছু গবেষণায় চোখে নন-ম্যালিগন্যান্ট টিউমার হওয়ার আশঙ্কার কথাও বলা হয়েছে।

* ঘুমের ব্যাঘাত (Sleep Disturbance): বিশেষ করে রাতে বা ঘুমানোর ঠিক আগে স্ক্রিন ব্যবহার করলে স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো মেলাটোনিন (ঘুম নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন) উৎপাদনে বাধা দেয়। ফলে শিশুদের ঘুমের ধরন ব্যাহত হয়, ঘুম কম হয় বা ঘুমের মান খারাপ হয়। এতে ক্লান্তি, মেজাজ খিটখিটে হওয়া এবং মনোযোগের অভাব দেখা দিতে পারে।

* অঙ্গবিন্যাস ও হাড়ের সমস্যা: দীর্ঘ সময় ধরে ভুল ভঙ্গিতে স্ক্রিন ব্যবহারের ফলে ঘাড়, পিঠ এবং কব্জিতে ব্যথা হতে পারে, যা তাদের দৈহিক গঠনে দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

২. মানসিক ও আচরণগত সমস্যা: আসক্তি ও অস্থিরতা

স্ক্রিন টাইম শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশকে জটিল ও নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এটি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করে।

* স্ক্রিন আসক্তি (Screen Addiction): ভিডিও গেম বা নির্দিষ্ট কনটেন্ট দেখার মাধ্যমে শিশু এক ধরনের তাৎক্ষণিক তৃপ্তি পায়, যা ধীরে ধীরে আসক্তিতে পরিণত হয়। এই আসক্তি মাদকের মতো মস্তিষ্কের একই অংশে প্রভাব ফেলে, যার ফলে শিশু গেম বা ভিডিও দেখাকে অন্য সবকিছুর থেকে বেশি গুরুত্ব দেয় এবং না পেলে উদ্বেগ, আক্রমণাত্মক আচরণ, চিৎকার বা অসহিষ্ণুতা প্রকাশ করে।

* আচরণগত সমস্যা (Behavioral Issues): অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম শিশুদের মধ্যে উদ্বেগ, বিষণ্নতা (Depression), অতিচঞ্চলতা (ADHD-like symptoms) এবং আগ্রাসী মনোভাব তৈরি করতে পারে। সহিংস গেম বা কনটেন্ট তাদের মধ্যে হিংসাত্মক আচরণ বাড়িয়ে তোলে।

* মস্তিষ্কের গঠন পরিবর্তন: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত গেম খেলা শিশুদের মস্তিষ্কের যে অংশটি চিন্তাভাবনার জন্য অপরিহার্য, সেই ‘গ্রে ম্যাটার’ নামক অংশটি কমে যেতে পারে। এটি তাদের চিন্তাভাবনা, আবেগের নিয়ন্ত্রণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

* ধৈর্যের অভাব ও মনোনিবেশে সমস্যা: দ্রুতগতির ভিডিও বা গেমের কারণে শিশুদের মধ্যে ধৈর্য কমে যায় এবং তারা বাস্তব জীবনের ধীরগতির কাজে বা পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে অসুবিধা বোধ করে।

৩. জ্ঞানীয় ও সামাজিক-মানসিক বিকাশে বাধা

স্ক্রিন মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগ বা সামাজিক দক্ষতা বিকাশের সুযোগ দেয় না, যা শিশুদের সঠিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

* ভাষাগত বিকাশ ও যোগাযোগে বিলম্ব (Delayed Language and Communication Skills): ছোট শিশুরা অন্যের মুখ দেখে এবং কথা শুনে ভাষা শেখে। স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে তারা সেই সামাজিক মিথস্ক্রিয়া (Social Interaction) থেকে বঞ্চিত হয়। ফলে তাদের কথা বলা শুরু করতে দেরি হয়, শব্দভান্ডার কমে যায় এবং স্পষ্টভাবে কথা বলার দক্ষতা বাধাগ্রস্ত হয়।

* সামাজিক বিচ্ছিন্নতা (Social Isolation): শিশুরা পরিবার বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে সরাসরি মেলামেশা করার বদলে স্ক্রিনে বেশি সময় কাটায়। এটি তাদের সামাজিক দক্ষতা যেমন— দায়িত্ববোধ, সহমর্মিতা, অন্যের মতামতকে সম্মান করা (পরমতসহিষ্ণুতা) এবং মিলেমিশে থাকার মতো গুণগুলো অর্জনে বাধা দেয়। তারা নিঃসঙ্গ ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

* শিক্ষণ ক্ষমতা ও সৃজনশীলতা হ্রাস: অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম শিশুদের চিন্তাশক্তিকে একপেশে ও আবদ্ধ করে তোলে। তাদের সৃজনশীলতা এবং কল্পনাপ্রবণ মন স্বাভাবিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত হয়। পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়া এবং পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হওয়ার পেছনেও স্ক্রিন টাইম একটি বড় কারণ।

* সমস্যা সমাধানের দক্ষতা হ্রাস: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমের ফলে শিশুদের যোগাযোগ এবং সমস্যা সমাধানের মতো বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে বিলম্ব হতে পারে।

অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমের প্রধান কারণসমূহ

শিশুদের মধ্যে স্ক্রিন আসক্তি বা অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমের পেছনে বহুবিধ কারণ কাজ করে, যার জন্য শুধু শিশু নয়, পরিবার ও সমাজও আংশিকভাবে দায়ী।

১. অভিভাবকদের ব্যস্ততা ও অসচেতনতা

* ‘শান্ত থাকার মাধ্যম’ হিসেবে ব্যবহার: আধুনিক দ্রুতগতির জীবনযাত্রায় অনেক অভিভাবক শিশুর কান্না থামাতে বা নিজেদের কাজের সুবিধার জন্য সহজেই তাদের হাতে মোবাইল ফোন বা ট্যাব তুলে দেন। অভিভাবকরা স্ক্রিনকে শিশুর ‘বিনোদনের যোগানদাতা’ বা ‘ভুলিয়ে রাখার সহজ মাধ্যম’ হিসেবে ব্যবহার করেন।

* অসচেতনতা: অনেক অভিভাবকই জানেন না যে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম শিশুদের জন্য কতটা ক্ষতিকর। প্রযুক্তির উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা বা এটিকে মেধা বিকাশের একমাত্র মাধ্যম ভাবাটাও একটি ভুল ধারণা।

* নিজেদের স্ক্রিন ব্যবহার: শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। অভিভাবকরা নিজেরাই যদি বেশি সময় মোবাইল বা টিভিতে কাটান, তবে শিশুরা সহজেই সেই অভ্যাস রপ্ত করে ফেলে।

২. সামাজিক ও পরিবেশগত কারণ

* খেলাধুলার স্থানের অভাব: খেলার মাঠ দখল হওয়া বা খোলা জায়গার অভাবে শিশুরা চার দেয়ালে বন্দি থাকতে বাধ্য হয়। এর ফলে তারা শারীরিক কার্যকলাপের পরিবর্তে বিনোদনের জন্য ডিজিটাল মাধ্যমের দিকে ঝুঁকে পড়ে।

* সহজলভ্যতা: স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেট এখন প্রায় সবার হাতে হাতে পৌঁছে গেছে, ফলে শিশুরা খুব সহজেই যেকোনো ডিজিটাল স্ক্রিনে প্রবেশ করতে পারে।

* ভার্চুয়াল স্কুলের চাপ (বিশেষ করে মহামারীর পর): করোনাকালে অনলাইন ক্লাস বা ভার্চুয়াল শিক্ষাব্যবস্থা শিশুদের স্ক্রিন টাইমকে বহুলাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে, যা অনেকের জন্য আসক্তিতে পরিণত হয়েছে।

৩. প্রযুক্তির ডিজাইন

* আসক্তি-ভিত্তিক ডিজাইন: ভিডিও গেম, সোশ্যাল মিডিয়া বা বিভিন্ন অ্যাপ এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে ব্যবহারকারী বারবার ফিরে আসে। এই ডিজাইন শিশুদের মস্তিষ্কে তাৎক্ষণিক পুরষ্কারের অনুভূতি তৈরি করে, যা আসক্তির দিকে ঠেলে দেয়।

* বিজ্ঞাপনের প্রভাব: স্ক্রিনে বেশি সময় কাটানোর ফলে শিশুরা অস্বাস্থ্যকর খাবারের বিজ্ঞাপন বেশি দেখে, যা তাদের জাঙ্ক ফুডের প্রতি আকৃষ্ট করে এবং খাদ্যাভ্যাসকে খারাপ করে তোলে।

ভয়াবহতা: কেন স্ক্রিন টাইম একটি ‘লাল সংকেত’

শিশুদের অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমকে অনেক বিশেষজ্ঞই ‘লাল সংকেত’ বা ‘ভয়াবহ সংকট’ হিসেবে দেখছেন। এর ভয়াবহতা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশ করে:

১. দীর্ঘস্থায়ী মস্তিষ্কের ক্ষতি

অতিরিক্ত স্ক্রিন ব্যবহারের ফলে মস্তিষ্কে যে পরিবর্তনগুলো আসে, তা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। আক্রমণাত্মক আচরণ, অসহিষ্ণুতা, কাণ্ডজ্ঞান লোপ পাওয়া এবং সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার মতো সমস্যাগুলো শিশুর ভবিষ্যতের সামাজিক ও পেশাগত জীবনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

২. জটিল স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি

স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের মতো জটিল স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো অল্প বয়সে শরীরে বাসা বাঁধলে তা তাদের জীবনকাল ও জীবনের মানকে ব্যাপকভাবে কমিয়ে দেয়। স্ক্রিনের নীল আলো ও ঘুমের ঘাটতি শিশুদের মধ্যে স্থায়ী মানসিক সমস্যার বীজ বপন করতে পারে।

৩. ভবিষ্যতের নাগরিক হিসেবে অযোগ্যতা

যে শিশুরা নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, অন্যের সঙ্গে মিশতে পারে না, এবং মনোযোগ দিতে পারে না, তারা ভবিষ্যতে সমাজের উৎপাদনশীল সদস্য বা দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। তাদের দুর্বল সামাজিক দক্ষতা এবং শিক্ষণে পিছিয়ে পড়া একটি প্রজন্ম হিসেবে তৈরি করতে পারে, যা রাষ্ট্রের জন্যও উদ্বেগের বিষয়।

৪. সাইবার ঝুঁকির শিকার

ইন্টারনেটে অতিরিক্ত সময় কাটানো শিশুরা সাইবার প্রতারণা, যৌন হয়রানি বা অশ্লীল/ক্ষতিকর কনটেন্টের মতো গুরুতর অনলাইন ঝুঁকির শিকার হতে পারে।

করণীয়: স্বাস্থ্যকর স্ক্রিন টাইমের জন্য গাইডলাইন

এই ভয়াবহতা থেকে শিশুদের বাঁচাতে হলে অভিভাবক, শিক্ষক এবং সমাজের প্রতিটি স্তরের সচেতনতা বৃদ্ধি ও সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং অন্যান্য শিশু বিশেষজ্ঞ সংস্থাগুলো স্বাস্থ্যকর স্ক্রিন টাইমের জন্য কিছু নির্দেশিকা দিয়েছে:
| বয়সসীমা | সুপারিশকৃত স্ক্রিন টাইম |
| ২ বছরের নিচে | একদমই নয় (ভিডিও কল ছাড়া)। |
| ২ থেকে ৫ বছর | দিনে ১ ঘণ্টার বেশি নয়। |
| ৬ বছরের বেশি | প্রাপ্তবয়স্কের তত্ত্বাবধানে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া। |

অভিভাবকদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ:

১. নিয়ম ও সময়সীমা নির্ধারণ: একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি তৈরি করুন এবং তা কঠোরভাবে মেনে চলুন। ঘুমের অন্তত এক ঘণ্টা আগে সব ধরনের স্ক্রিন ব্যবহার বন্ধ করুন।
২. শোবার ঘরে ডিভাইস নয়: সন্তানের শোবার ঘর থেকে স্মার্টফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ এবং টিভি সরিয়ে ফেলুন।
৩. মানসম্মত কনটেন্ট নির্বাচন: স্ক্রিন টাইমের সময় শিশু কী দেখছে বা খেলছে, সেদিকে মনোযোগ দিন। শিক্ষামূলক, সৃজনশীল এবং ইতিবাচক কনটেন্ট দেখতে উৎসাহিত করুন।
৪. আদর্শ স্থাপন: অভিভাবক হিসেবে নিজে মোবাইল ব্যবহারের সময় সীমিত করুন এবং সন্তানের সঙ্গে মুখোমুখি (Face-to-Face) যোগাযোগের জন্য বেশি সময় দিন।
৫. বিকল্প ব্যবস্থা: স্ক্রিন টাইমের বিকল্প হিসেবে বই পড়া, গল্পের বই শোনানো, ছবি আঁকা, শারীরিক খেলাধুলা এবং পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সরাসরি মেলামেশার জন্য সময় বরাদ্দ করুন।
৬. খোলামেলা আলোচনা: স্ক্রিন ব্যবহারের ভালো-মন্দ দিক নিয়ে সন্তানের সঙ্গে সহজভাবে আলোচনা করুন এবং তাদের আসক্তির কারণ বোঝার চেষ্টা করুন।
পরিশেষে, ডিজিটাল ডিভাইস জীবনের অংশ হলেও, শৈশব হচ্ছে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক কাঠামোর ভিত্তি। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাদের হাতে নিয়ন্ত্রিত ও নিরাপদ স্ক্রিন টাইম নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব।

Spread the love
More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved
Theme Developed BY ThemesBazar.Com