ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস শুধু স্বাস্থ্যকরই নয়, বরং তা গোটা জীবনধারাকেই করে তুলতে পারে আরও ইতিবাচক ও গুছানো। নানা গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ভোরে ওঠা শরীর ও মনের ওপর রেখে যায় ভালো প্রভাব। তাহলে কেন ভোরে ওঠা জরুরি? জেনে নিন এর পেছনের বিজ্ঞান ও উপকারিতা।
ঘুমের রুটিনে শৃঙ্খলা
রাতের ঘুম শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেকেই গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকার অভ্যাসে ভোগেন, যার ফলে ঘুমের অভাব দেখা দেয়। নিয়মিত ভোরে ওঠার চেষ্টা করলে রাতের ঘুমও সময়মতো আসতে শুরু করে। এতে করে শরীর পায় প্রয়োজনীয় বিশ্রাম, কমে হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও ত্বকের বলিরেখার ঝুঁকি।
সতেজ ও সক্রিয় দিন
ভোরে উঠে দিনের কাজ শুরুর আগে পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায় সতেজ হওয়ার জন্য। হঠাৎ করে ঘুম থেকে উঠে দৌঁড়ে বেরিয়ে পড়ার বদলে আপনি ধীরে-সুস্থে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারেন। সকালের নির্মল আলো ও ঠান্ডা হাওয়া মস্তিষ্ককে করে তোলে আরও চঞ্চল ও কর্মক্ষম।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
ভোরে ঘুম থেকে উঠলে সকালের নাশতা সময়মতো ও শান্তভাবে খাওয়া যায়। এমনকি অফিস বা বাইরে যাওয়ার আগে দুপুরের খাবারও প্রস্তুত করা সম্ভব হয়। সময়মতো ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে হজমের সমস্যা যেমন অ্যাসিডিটি থেকেও রেহাই মেলে।
মানসিক প্রশান্তি
সকালে দেরিতে ওঠার ফলে কর্মস্থলে পৌঁছাতে দেরি হলে তৈরি হয় চাপ ও দুশ্চিন্তা। সেই সঙ্গে যানজট ও তাড়াহুড়োর কারণে বাড়ে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা। তবে ভোরে ওঠার অভ্যাস থাকলে আপনি ধীরে-সুস্থে প্রস্তুতি নিয়ে রুটিনমাফিক জীবন কাটাতে পারেন, যা মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখতে সহায়ক।
বাড়তি সময়
অনেকেই বলেন, কাজের চাপে নিজের জন্য বা প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পান না। অথচ ভোরে ওঠার মাধ্যমে দিনটা শুরু হয় আগেভাগেই, ফলে বাড়তি কিছু সময় হাতে পাওয়া যায়। সেই সময় কাজে লাগিয়ে শরীরচর্চা, বই পড়া কিংবা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো সম্ভব হয়।