মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। সীমান্তে তিন দিন ধরে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করছেন।
শনিবার (২৬ জুলাই) এমন কথা জানান ট্রাম্প। থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফেসবুকে বলেন, থাইল্যান্ড নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত, তবে কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে সৎ মনোভাব আশা করে।
ফুমথামের এই মন্তব্য ট্রাম্পের স্কটল্যান্ড সফরের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা পোস্টগুলোর প্রতিক্রিয়ায় আসে। ট্রাম্প বলেন, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং ফুমথামের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের সতর্ক করেছেন, যদি সংঘাত অব্যাহত থাকে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করবে না। ট্রাম্প আরও লিখেছেন, উভয় পক্ষই দ্রুত যুদ্ধবিরতি ও শান্তি চায়।
ফুমথাম বলেন, তিনি ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন কম্বোডিয়ার সরকারকে জানাতে যে, থাইল্যান্ড দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় আগ্রহী, যাতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় এবং অবশেষে শান্তিপূর্ণ সমাধান পাওয়া যায়।
গত ১৩ বছরে এই সীমান্ত সংঘাত সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এ পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি নিহত এবং ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের আগে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘর্ষ তৃতীয় দিনে প্রবেশ করে এবং উত্তেজনা নতুন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষ দাবি করে, তারা আত্মরক্ষার্থে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে এবং অপর পক্ষকে যুদ্ধবিরতি ও আলোচনায় আসার আহ্বান জানায়।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই সংঘাত নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং উভয় পক্ষকে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধবিরতি ও আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি আলোচনার বিস্তারিত তথ্য জানাননি এবং হোয়াইট হাউসও আলোচনার সময় ও স্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য দেয়নি। ওয়াশিংটনে অবস্থিত থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার দূতাবাসও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এই সংঘাত শুরু হয় গত মে মাসের শেষ দিকে এক কম্বোডিয়ার সেনার মৃত্যুর পর। এরপর থেকে দুই দেশের সীমান্তে সেনা মোতায়েন বাড়ে এবং এই সংঘাত থাইল্যান্ডের সংকটাপন্ন জোট সরকারকে পতনের দিকে ঠেলে দেয়।