লেবাননের পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পাঁচজন সদস্য রয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির একটি নিরাপত্তা সূত্র। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, হিজবুল্লাহর অভিজাত রাধওয়ান ইউনিটের প্রশিক্ষণ শিবির ও অস্ত্রাগার ধ্বংস করতে বেকা উপত্যকা অঞ্চলে এই হামলা চালানো হয়। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, হিজবুল্লাহর সামরিক পুনর্গঠনের প্রচেষ্টা ঠেকাতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বেকা প্রদেশের গভর্নর বশির খোদর জানান, নিহতদের মধ্যে সাতজন সিরীয় নাগরিক রয়েছেন। গত বছরের নভেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতির পর এটি অঞ্চলটিতে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত বলেন, হিজবুল্লাহকে ‘স্পষ্ট বার্তা’ দেওয়ার লক্ষ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, রাধওয়ান ইউনিট পুনর্গঠনের মাধ্যমে ইসরায়েলের ওপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল হিজবুল্লাহ। তার ভাষায়, “পুনর্গঠনের যেকোনো প্রয়াসের জবাবে আমরা সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করব। এই হামলা লেবানন সরকারকেও একটি বার্তা পৌঁছে দেয়, কারণ যুদ্ধবিরতি রক্ষার দায়িত্ব তাদের।”
হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বেকা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে এটিকে ‘লেবাননের বিরুদ্ধে চলমান আগ্রাসনের অংশ’ বলে আখ্যা দিয়েছে। তবে বিবৃতিতে তাদের যোদ্ধাদের হতাহতের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। লেবানন সরকারের পক্ষ থেকেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে হিজবুল্লাহ ইতোমধ্যে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। যুদ্ধবিরতির আগের হামলাগুলোতে গোষ্ঠীটির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাও নিহত হন।