আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) ভিত্তিক নির্বাচন পদ্ধতির জন্য বাংলাদেশ এখনো প্রস্তুত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতায় এই পদ্ধতি টেকসই হবে না।
বুধবার (১৩ আগস্ট) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, “উন্নত গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোতে পিআর ব্যবস্থা কার্যকর হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো সে জায়গায় পৌঁছায়নি। গণতন্ত্রের অনুশীলন ও রাজনৈতিক সহনশীলতা বাড়ানোর আগে এমন ব্যবস্থা জটিলতা সৃষ্টি করবে। এর পেছনে কোনো স্বচ্ছতা নেই, বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিছু আছে বলেই মনে হয়।”
চট্টগ্রামে এক চিকিৎসকের অভিযোগ বিষয়ে রিজভী বলেন, “তার কাছ থেকে বিএনপির কেউ চাঁদা নেয়নি। তিনি নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ করায় কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছে। অথচ তিনি মিথ্যা নাটক সাজিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছেন।”
রংপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বী দুই ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে রিজভী বলেন, “আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। দোষী যে-ই হোক, বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সরকারকে উসকানিমূলক ঘটনার পেছনের সুযোগসন্ধানীদের চিহ্নিত করে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
রিজভী অভিযোগ করেন, “দেশে এখন সাধারণ মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। সর্বত্র মব কালচার চলছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হওয়া উচিত এই অনিরাপত্তা বন্ধ করা ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।”
আওয়ামী লীগের শাসনামলে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ ফারমার্স ব্যাংকে (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) রাখা হয়েছিল দাবি করে তিনি বলেন, “এখনো সেই অর্থের কোনো হদিস নেই। এ ধরনের লুটপাটের ঘটনায় সরকার আন্তরিক হলে অর্থ উদ্ধার সম্ভব।”
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী জানান, “বিএনপি বা অঙ্গসংগঠনের নামে কেউ অপরাধে জড়িত থাকলে, প্রমাণ মিললেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আজীবন বহিষ্কারও করা হচ্ছে।”