নিরাপদ হাসপাতাল চাই’র (নিহাচ) আগের কমিটি বিলুপ্ত করে ১৫ সদস্যসের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে এফ এ শাহেদ সভাপতি ও সোহানুর রহমান শুভ্র সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর প্রেসক্লাবে এক সাধারণ সভায় আগের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করে নিহাচ।
কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন শাহরিয়ার সোহাগ, মো. আহসান হাবীব সবুজ ও তারেক মনোয়ার। সহ-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন আল-আমিন বিন আলী। সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিনা আক্তার তন্বী ও তন্ময় কুমার। অর্থ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সহ-অর্থ সম্পাদক লতিফা আক্তার, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পাদক শাকিব জিসান। আইসিটি সম্পাদক নোমান বিল্লাহ, মানবসম্পদ সম্পাদক ইলিয়াস আকন্দ অপি প্রচার ও জনসচেতনতা সম্পাদক শাহরিয়ার রায়হান আইন এবং নিতীমালা সম্পাদক রাহুল দেব নাথ।
উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন, মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, মাইদুর রহমান রুবেল, মেহেদী আজাদ মাসুদ, স্বপ্না চক্রবর্তী, মেহেদী হাসান খাজা, এ্যাড. মো. উজ্জল হোসেন, নাদের হোসেন সবুজ ও মাহমুদুল হাসান।
নিহাচের সভাপতি এফ এ শাহেদ বলেন, সবার জন্য স্বাস্থ্যেসেবা নিশ্চিতের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকলেও বাস্তবিক কোনো প্রয়োগ নেই। লাখো মানুষ প্রতিনিয়ত তাদের চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত সরকারি হাসপাতালগুলো জনাকীর্ণ, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি ও মানবিক সংবেদনশীলতার অভাবে জর্জরিত।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্যাপ্ত সেবা এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষার অভাব প্রকট। উপজেলা, জেলা থেকে রাজধানী সবখানে রয়েছে রোগীদের প্রতি অমানবিক আচরণের মতো ঘটনা। একইসঙ্গে নিরাপত্তাহীনতায় থাকেন রোগী থেকে চিকিৎসক এবং হাসপাতাল স্টাফ। দেশের এই অনিশ্চিত স্বাস্থ্য খাতকে জনগণের আস্থার জায়গা সৃষ্টি হওয়ার আগ পর্যন্ত নিহাচের আন্দোলন চলবে।
নিহাচের সাধারণ সম্পাদক সোহানুর রহমান শুভ্র বলেন, দেশের স্বাস্থ্যখাতের বেহাল দশার কারণে এক শ্রেণির মানুষ সেবা গ্রহণ করতে পারে না। আর এক শ্রেণির মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য নির্ভরযোগ্য সুবিধা পেতে হন বিদেশমুখী। দেশের স্বাস্থ্য খাতের এমন বেহাল দশা চলতে পারে না। এই অবস্থা থেকে বের হতেই নিহাচের আন্দোলন। দেশের সর্বস্তরের মানুষের সেবা নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত নিহাচ তার আন্দোলন চালিয়ে যাবে।