দেখেশুনে শুরু করলেও একবার ছন্দে উঠেই প্রতিপক্ষের ওপর ঝড় বইয়ে দেয় লাল-সবুজের মেয়েরা। বিরতির আগে ও পরে সমান চারটি করে গোল করে তিমুর লেস্তেকে বিধ্বস্ত করেছে বাংলাদেশ। দারুণ পারফরম্যান্সে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেয়েছেন ফরোয়ার্ড তৃষ্ণা রানী সরকার। এই জয়ে অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) লাওসের ভিয়েনতিয়েনে নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে পিটার বাটলারের দল ৮-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে। দলের হয়ে গোল করেছেন তৃষ্ণা (৩টি), সিনহা জাহান শিখা, শান্তি মার্ডি, নবীরন খাতুন, মোসাম্মৎ সাগরিকা ও মুনকি আক্তার।
বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক লাওসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে তাদের শেষ ম্যাচ আগামী রোববার, প্রতিপক্ষ শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া।
ম্যাচের শুরুতে কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করার পর ২০তম মিনিটে লিড নেয় বাংলাদেশ। স্বপ্না রানীর কর্নারে হেড করে জাল খুঁজে পান শিখা। এরপর ৩৩তম মিনিটে দুর্দান্ত এক অলিম্পিক গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন শান্তি মার্ডি—তার কর্নার কারও পা বা মাথা ছোঁয়া ছাড়াই সরাসরি জালে জড়ায়। মাত্র তিন মিনিট পর শান্তির আরেকটি কর্নার থেকে হেডে গোল করে নবীরন ম্যাচে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ আরও মজবুত করেন।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে নিজের প্রথম গোলটি করেন তৃষ্ণা রানী। ডি-বক্সের ডান দিক থেকে সাগরিকার কাটব্যাক পেয়ে সহজ ফিনিশে গোল করেন এই ফরোয়ার্ড।
বিরতির পরও আক্রমণের ধার কমায়নি বাংলাদেশ। ৫৭তম মিনিটে গোলরক্ষক শিখার শট ঠেকালেও বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি—তৃষ্ণা সুযোগ নিয়ে গোল করেন নিজের দ্বিতীয়টি।
৭৩তম মিনিটে শিখার থ্রু পাস ধরে জাল কাঁপান সাগরিকা। প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে কাটিয়ে স্কোরলাইন ৬-০ করেন তিনি।
৮২তম মিনিটে তৃষ্ণা নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সাগরিকার ক্রসে নিখুঁত টোকায়। আর ম্যাচের শেষ দিকে, অতিরিক্ত সময়ে, তিমুর লেস্তের জালে শেষবারের মতো বল পাঠান মুনকি আক্তার। জটলার মধ্যে ডান পায়ের শটে গোলটি করেন তিনি।
এবারের বাছাইপর্বে অংশ নিয়েছে ৩২টি দল, আটটি গ্রুপে ভাগ হয়ে। প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল মূলপর্বে জায়গা করে নেবে। সঙ্গে যোগ হবে সেরা তিন রানার্সআপ। সব মিলিয়ে ১২ দল খেলবে ২০২৬ সালের এপ্রিলে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ মূলপর্বে।