বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, রাজনৈতিক ঐক্য না থাকলে এক-এগারোর মতো পরিস্থিতি আবারও ঘটতে পারে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “খুব সতর্ক থাকতে হবে। এখন যেসব ঘটনা ঘটছে, তার ইঙ্গিত মোটেও ভালো নয়। আমি উদ্বিগ্ন, যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ না হই, তাহলে এক-এগারোর পুনরাবৃত্তি অস্বাভাবিক কিছু নয়।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারিকে সময়সীমা হিসেবে নির্ধারণ করা উচিত। এর পর যদি নির্বাচন হয়, তাহলে বাংলাদেশের সম্মান ও বিশ্বে অর্জিত মর্যাদা ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “ইচ্ছাকৃতভাবে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। এর পেছনে স্পষ্ট উদ্দেশ্য আছে— এক-এগারোর মতো অঘটন ঘটানো কিংবা এরশাদের মতো স্বৈরশাসনের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।”
গণতন্ত্র নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “এই দেশে বারবার গণতন্ত্রকে রুদ্ধ করার চেষ্টা হয়েছে। একটা চিহ্নিত মহল গণতন্ত্রকে চলতে দিতে চায় না। ইতিহাস বলছে, শেখ মুজিবুর রহমান একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন। আর আমরা চাই একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণ যেন তাদের ভোটাধিকার ফিরে পায়, সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন করে সংসদ ও সরকার গঠন করতে পারে— সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সরকার যদি ব্যর্থ হয়, জনগণই পরবর্তী নির্বাচনে তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। এটাই গণতন্ত্রের পথ।”
আলোচনার শেষদিকে তিনি বলেন, “এই জায়গাটিতে যেতে কেন এত বিতর্ক? আমি বলছি না যে কোনো কাজ হচ্ছে না— অবশ্যই কিছু অগ্রগতি হয়েছে। তবে আমার মতে, আর দেরি করা অধ্যাপক ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য শুভ হবে না।”