যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্প্রতি সম্পাদিত বাণিজ্য চুক্তিকে ‘একটি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক বিজয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি যুগান্তকারী বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের জন্য বাংলাদেশের শুল্ক আলোচক দলকে আমরা গর্বের সঙ্গে অভিনন্দন জানাই। এটি আমাদের কূটনৈতিক সাফল্যের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।”
বাংলাদেশের ওপর আগে আরোপিত ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কমিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ২০ শতাংশে নামিয়ে আনে। এই সিদ্ধান্ত আসে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (USTR) সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচক দলের টানা তিন দিনের বৈঠকের পর।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “প্রত্যাশিত হারের তুলনায় ১৭ শতাংশ কমিয়ে নতুন ২০ শতাংশ শুল্কহার নির্ধারণ, আমাদের আলোচকদের কৌশলগত দক্ষতা, দূরদর্শিতা এবং দেশের প্রতি প্রতিশ্রুতির নিদর্শন।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আজকের এই অর্জনের মধ্য দিয়ে আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। এটি আমাদের জাতির দৃঢ়তা ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার এক সাহসী প্রকাশ।”
প্রেস সচিব শফিকুল আলামের মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা জানান, ফেব্রুয়ারি থেকে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট নানা জটিল ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে সফল সমঝোতায় পৌঁছেছেন বাংলাদেশের আলোচকরা।
চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা বজায় থাকছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। একইসঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোক্তা বাজারে বাংলাদেশের প্রবেশাধিকার আরও সম্প্রসারিত হয়েছে এবং জাতীয় স্বার্থও নিরাপদ রয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই অর্জন শুধু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেনি, বরং দেশের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে— যা ভবিষ্যতে দ্রুত প্রবৃদ্ধি ও টেকসই সমৃদ্ধির পথকে প্রশস্ত করবে।