বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারাদেশের সকল শাখা কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।
রোববার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করে অনেকেই অপকর্মে জড়াচ্ছে। কেউ কেউ রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় অথবা ব্যক্তিগত স্বার্থে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতিতে যুক্ত হয়েছে, যা সংগঠনের আদর্শের পরিপন্থী। এসব কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত অন্য সব কমিটির কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করছি।”
তিনি আরও জানান, আজকের পর থেকে সংগঠনের নাম ব্যবহার করে কেউ অপকর্মে জড়ালে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংগঠনের এই সিদ্ধান্ত আসে এক দিন পর, যখন গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত শনিবার রাতে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। এদের মধ্যে চারজনকে রোববার সাত দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ১৭ জুলাই আবদুর রাজ্জাক ও কাজী গৌরব অপু নিজেদের “সমন্বয়ক” পরিচয় দিয়ে শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং হুমকি দেন গ্রেপ্তার করিয়ে দেবেন। পরে শাম্মী আহমেদের স্বামী তাঁদের ১০ লাখ টাকা দেন। আবারও শনিবার রাতে চাঁদাবাজির উদ্দেশে বাসায় গেলে পুলিশ তাঁদের হাতেনাতে আটক করে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের উদ্যোগেই কিছু মাস আগে গঠিত হয় “বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ” নামের নতুন সংগঠন। এর আগেই গত ফেব্রুয়ারিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল, যেখানে আবদুর রাজ্জাক ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক।