জেলা প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ৪৫ জন আহত হয়েছেন। রোববার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত হামিরদী ইউনিয়নের গোপিনাথপুর ও ছোট হামিরদী গ্রামে এ সংঘর্ষ ঘটে।
এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আধিপত্যের বিরোধ থেকেই এ সংঘর্ষের সূত্রপাত। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছোট হামিরদী গ্রামের লিটন মাতুব্বর (৫৫) এবং গোপিনাথপুর গ্রামের কুদ্দুস মুন্সী (৬০) —এই দুই জনের নেতৃত্বে দুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
গত বৃহস্পতিবার জমি-সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে লিটন মাতুব্বরপক্ষের সাইমন শেখ ও কুদ্দুস মুন্সীর মধ্যে তর্কবিতর্কের জেরে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে শুক্রবার সকালে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়, তবে স্থানীয়রা হস্তক্ষেপ করে সালিশের উদ্যোগ নেন।
আজ রোববার বিকেলে সালিশ বসার কথা থাকলেও তার আগেই উভয় পক্ষের শতাধিক লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানসিভ জুবায়ের জানান, আহত ৪৫ জন চিকিৎসা নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত পাঁচজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “আহতদের বেশিরভাগের শরীরে দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেলের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”
সংঘর্ষে অংশ নেওয়া উভয় পক্ষই অপর পক্ষকে আগে আক্রমণের অভিযোগ করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে টহল জোরদার করা হয়েছে।