প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, দেশে সংখ্যানুপাতিক বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের সুযোগ নেই, কারণ এটি সংবিধান কিংবা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) অন্তর্ভুক্ত নয়। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, প্রচলিত আইন পরিবর্তনের এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, “আমাদের বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় যে নিয়ম রয়েছে, সেটাই আমরা অনুসরণ করছি। পিআর পদ্ধতি তো আরপিওতে নেই। আমরা তো আইন বদলাতে পারি না।”
তিনি আরও বলেন, “পিআর পদ্ধতি চালু করতে হলে আগে আরপিও পরিবর্তন করতে হবে। এমনকি সংবিধানে সংশোধন আনাও প্রয়োজন হতে পারে। এসব পরিবর্তন নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়।”
সংবিধান পরিবর্তনের প্রসঙ্গ এলেই বিতর্ক তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করেন সিইসি।
সিইসি নাসির উদ্দিন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। দলগুলো যদি পিআর পদ্ধতি চায়, তাহলে তাদের মধ্যে আগে একটা ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে হবে। তারা সিদ্ধান্ত নিলে আমরা সেই আলোকে আমাদের মতামত দিতে পারি।”
তিনি বলেন, “আমরা বাস্তবতা বুঝি। কিন্তু যেটা আমাদের এখতিয়ার নয়, সেটা আমরা করতে পারি না।”
সিইসির বক্তব্যে স্পষ্ট—বর্তমানে প্রচলিত একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নির্বাচনই আইনি কাঠামোর মধ্যে পড়ে, এবং নতুন কোনো পদ্ধতি চালু করতে হলে রাজনৈতিক ঐকমত্য ও আইন সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে।