জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে দেশের সাত বিভাগীয় শহরে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে গোপনে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার অভিযোগ তুলেছে জামায়াতে ইসলামী।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত সমাবেশগুলোতে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন এবং বলেন, “বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপে সংস্কার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ওই শক্তির চাপে মাথানত করছে সরকার।”
রংপুরের পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “একদিকে সরকার জুলাই সনদ ঘোষণা করছে, অন্যদিকে গোপনে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা করছে—এটা মেনে নেওয়া হবে না। আমাদের নিরপেক্ষভাবে ডাকুন, পাঁচ দফা দাবি মেনে নিন। তবেই আন্দোলন থেকে সরে আসব।”
তিনি আরও বলেন, “৩১টি দলের মধ্যে ২৫টি দল সংখ্যানুপাতিক (PR) পদ্ধতির পক্ষে থাকলেও বিএনপি এর বিরোধিতা করছে, কারণ এই পদ্ধতিতে ফ্যাসিবাদ, কালো টাকা ও পেশিশক্তির জায়গা থাকবে না।”
সিলেটের বন্দরবাজারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “সরকার জুলাই সনদ দিলেও তার চেতনা অনুসরণ না করে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “সংস্কার কোনো দলের এজেন্ডা নয়, এটা জনগণের দাবির প্রতিফলন। এটি বাস্তবায়নে ব্যর্থতা মানে জুলাই সনদের চেতনাকে অস্বীকার করা।”
বরিশালে জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এবং চট্টগ্রামে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান PR পদ্ধতির পক্ষে গণভোটের দাবি জানান। এই কর্মসূচি ছিল জামায়াতসহ সাতটি ইসলামী দলের চলমান তিন দিনের কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন।
অন্যান্য অংশগ্রহণকারী দলগুলো হলো- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।
পরবর্তী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর সব জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে দলগুলো।