November 23, 2025, 11:17 pm

ভোটের আগে ইসির ব্যাপক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে

  • Update Time : Thursday, August 28, 2025
  • 28 Time View

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ে প্রায় ৯ থেকে ১০ লাখ লোকবলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় শত কোটি টাকা।

এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বৃহৎ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন শুক্রবার এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে রোজার আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকায় ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করবে ইসি। ভোট প্রস্তুতির সার্বিক অগ্রগতি এবং তফসিল ঘোষণার আগের ও পরবর্তী সময়ের বিভিন্ন কাজের জন্য সময়ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে।

এই কর্মসূচির আওতায় আগামী কয়েক মাসে কোর ট্রেইনার, প্রশিক্ষক এবং ভোট পরিচালনায় সম্পৃক্ত সব ধরনের লোকবলকে পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

ইসির নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) এর মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান জানান, আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে শুক্রবার থেকে দুই ব্যাচে কোর ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। এরপর সেপ্টেম্বরের শুরুতেই নির্বাচন ব্যবস্থাপনার ওপর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে এবং ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচি চলবে।

প্রশিক্ষণে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), অন্যান্য আইন, নির্বাচন পরিচালনা বিধি, আচরণবিধি, নীতিমালা ও ভোটের যাবতীয় নির্দেশনা এবং করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে।

নির্বাচনী আইন-বিধির সংস্কার শেষে ইসির নির্বাচনি ম্যানুয়ালও প্রস্তুত করা হবে। প্রশিক্ষণ চলাকালে সংশোধিত আইন ও বিধিমালা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিজ দায়িত্বে রপ্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হবে।

এছাড়া, রাজনৈতিক দলগুলোর পোলিং এজেন্টদের জন্যও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিটি দলের ৫-১০ জন ‘মাস্টার ট্রেইনার’ তৈরি করা হবে, যারা দলের পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেবেন। প্রায় ১১ হাজার রাজনৈতিক কর্মীকে ‘মাস্টার ট্রেইনার’ হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতে পারে।

নির্বাচন পরিচালনায় সম্পৃক্তদের প্রশিক্ষণ

>> কোর ট্রেইনার: প্রায় ৮০ জন।

>> নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি): ১৫৩৪ জন।

>> উপজেলা/থানা ভিত্তিক টিওটি: ২১০০ জন।

>> নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ: ২২৬ জন।

>> ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটির ব্রিফিং-প্রশিক্ষণ: ৩০০ জন।

>> জুম অ্যাপে নির্বাহী হাকিমদের প্রশিক্ষণ: ৮০০ জন।

>> অনলাইন সাবমিশন সিস্টেম (ওএনএসএস) বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা: ৫৭৫ জন।

>> অনলাইন সাবমিশন সিস্টেম (ওএনএসএস) তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারি: ৫০০ জন।

>> তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের সহকারী প্রোগ্রামারদের প্রশিক্ষণ: ৬৫০ জন।

>> অনলাইন সাবমিশন সিস্টেম (ওএনএসএস): ১৭০০ জন।

>> এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ব্রিফিং-প্রশিক্ষণ: ১১৮৮ জন।

>> জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের প্রশিক্ষণ/ব্রিফি : ৬৬৩ জন (সম্ভাব্য)।

>> রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট (আরএমএস): ৫৯৬ জন।

>> রিটার্নিং অফিসারদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ব্রিফিং-প্রশিক্ষণ: ৭২ জন।

>> সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের ব্রিফিং-প্রশিক্ষণ: ৬০০।

>> আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ: ৭৫ জন।

>> নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিতকরণ ব্রিফিং/প্রশিক্ষণ: ২৫০ জন।

>> সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণ: ২৪০ জন।

>> দেশি পযবেক্ষক প্রশিক্ষণ-ব্রিফিং: ১০০ জন।

>> মাঠ পর্যায়ে সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষক প্রশিক্ষণ: ৬৩৯০ জন।

>> ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ- ১০ লাখ ৮৯ হাজার।

>> পোলিং এজেন্টদের মাস্টার ট্রেইনার প্রশিক্ষণ: ১০ হাজার ৮৫০ জন।

>> আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তাদের ব্রিফিং-প্রশিক্ষণ: ৫০ হাজার।

Spread the love
More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved
Theme Developed BY ThemesBazar.Com