নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারা দেশে সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে অনুভূত ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন কয়েকশ মানুষ। নিহতদের মধ্যে ২ জন শিশু।
রাজধানীর আরমানিটোলা এলাকায় একটি ভবনের ছাদের রেলিং ও পাশের দেয়ালের কার্নিশ ভেঙে নিচে পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। এতে আরও কয়েকজন আহত হন। বংশাল থানার উপপরিদর্শক আশীষ কুমার ঘোষ ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক তথ্যে জানা যায়, কসাইটুলি এলাকার আটতলা ভবনের দেয়াল ও কার্নিশ ভেঙে নিচের একটি গরুর মাংসের দোকানের ওপর পড়ে। সেখানে থাকা ক্রেতা ও পথচারীরা আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান জানান, ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে দ্রুত নিচে নামতে গিয়ে দুইজন মারা যান এবং শতাধিক মানুষ আহত হন।
নিহতরা হলেন—চিনিশপুর ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেনের ১০ বছর বয়সী ছেলে ওমর এবং পলাশ উপজেলার মালিতাপাড়ার ৭৫ বছর বয়সী কাজেম আলী ভূঁইয়া।
চিনিশপুরে নির্মাণাধীন ভবনের মালামাল পড়ে চারজন আহত হন। তাদের মধ্যে শিশুহাফেজ ওমরকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পর মৃত ঘোষণা করা হয়। তার বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে, চরসিন্দুর ইউনিয়নে মাটির ঘর ভেঙে চাপা পড়ে কাজেম আলী ভূঁইয়া হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
নারায়ণগঞ্জে দেয়াল ধসে শিশুর মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গোলাকান্দাইল এলাকায় দেয়াল ধসে এক বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা জানান, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার পূর্বে—নরসিংদীর মাধবদী এলাকায়।
ঢাকা ছাড়াও ময়মনসিংহ, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগে কম্পন অনুভূত হয়।