ক্রীড়া প্রতিবেদক:
আর্জেন্টিনার মতোই আফ্রিকান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দারুণ জয় পেল ব্রাজিল। আগের দিন অ্যাঙ্গোলাকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল লিওনেল মেসিরা। তার ঠিক পরদিন একই ব্যবধানে সেনেগালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এই আফ্রিকান দলের বিপক্ষে জয়ের আনন্দ পেল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন এস্তেভাও। পরে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কাসেমিরো। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেই ২-০ গোলে ম্যাচ শেষ করে আনচেলত্তির শিষ্যরা। পুরো ম্যাচে ব্রাজিল ১৪টি শট নিয়ে ছয়টি লক্ষ্যে রাখতে পারে, বিপরীতে সেনেগাল ১১টি শট নিয়ে মাত্র একটি শট রাখতে পারে টার্গেটে।
এর আগে ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রথমবার মুখোমুখি হয় দুই দল, সে ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। ২০২৩ সালের জুনে ব্রাজিল হেরে গিয়েছিল সেনেগালের কাছে। এবার সেই হার ভুলে নিয়ে পঞ্চম দেখায় প্রথম জয় তুলে নিল সেলেসাও। মরক্কো ও ক্যামেরুনের বিপক্ষেও অতীতে হার দেখেছিল তারা।
ম্যাচের শুরুতেই গোলের সুযোগ আসে ব্রাজিলের সামনে। চতুর্থ মিনিটে ম্যাথিউস কুনহার শট পোস্টে লাগে। ১৭ মিনিটে আবার তার হেড ক্রসবারে বাধা পায়। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের দূরপাল্লার শটও ফিরিয়ে দেন এদুয়ার্দো মেন্দি।
অবশেষে ২৮ মিনিটে আসে অপেক্ষার অবসান। কাসেমিরোর পাস প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে এস্তেভাওয়ের সামনে পড়লে তিনি বাঁ পায়ের জোরালো শটে জাল খুঁজে নেন। আর ৩৫তম মিনিটে রদ্রিগোর নিখুঁত ফ্রি কিকে রক্ষণভাগের ফাঁক গলে উঠে এসে গোল করেন অভিজ্ঞ কাসেমিরো।
বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব শেষে গত মাসে ব্রাজিল দুইটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল—দক্ষিণ কোরিয়াকে ৫-০ গোলে হারানোর পর জাপানের কাছে ৩-২ গোলে হেরে যায়। কোচ হিসেবে আনচেলত্তির এটি সাত ম্যাচে চতুর্থ জয়।
আগামী মঙ্গলবার তিউনিসিয়ার বিপক্ষে আরেকটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে ব্রাজিল।