ক্রীড়া প্রতিবেদক:
৮০৭ দিন ও ৮৩ ইনিংসের অপেক্ষার পর অবশেষে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন বাবর আজম। প্রায় আড়াই বছর পর সেঞ্চুরি খরা কাটিয়ে পাকিস্তানকে উপহার দিলেন এক দাপুটে জয়। রাওয়ালপিন্ডিতে শ্রীলঙ্কার ২৮৯ রানের লক্ষ্য ১০ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে টপকে তিন ম্যাচ সিরিজে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
২০২৩ সালের ৩১ আগস্টের পর এটাই বাবরের প্রথম শতক। নেপালের বিপক্ষে ১৫১ রানের ইনিংসের পর দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে শুক্রবার রাতে তিনি খেললেন ১১৯ বলে অপরাজিত ১০২ রানের ইনিংস—যা তার ২০তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। এর সঙ্গে ছুঁয়ে ফেললেন পাকিস্তানের হয়ে সাঈদ আনোয়ারের সর্বোচ্চ (২০) ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ডও। পুরো ইনিংসে বাবরের শট নির্বাচন ছিল নিখুঁত, বিশেষ করে কভার ও মিডউইকেটে—যেখান থেকে এসেছে তার ৬১ রান ও ৮ চারের ৬টি।
লক্ষ্য তাড়ায় দলের শুরুটা করেন সাইম আইয়ুব—২৫ বলে ৩৩ রান করে এনে দেন ঝড়ো সূচনা। ওপেনার ফাখর জামান খেলেন ধীরস্থির ৯৩ বলে ৭৮ রানের ইনিংস; বাবর–ফাখর জুটিতে আসে ১০০ রান। শেষদিকে মোহাম্মদ রিজওয়ান বাবরের সঙ্গে গড়েন ১১২ রানের অপরাজিত জুটি। রিজওয়ান থাকেন ৫৪ বলে অপরাজিত ৫১ রানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা শুরুতেই চাপে পড়ে ৯৮ রানে হারায় চার উইকেট। এরপর সাদিরা সামারাবিক্রমা (৪২), কামিন্দু মেন্ডিস (৪৪), জানিথ লিয়ানাগে (৫৪) ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (৩৭) লড়াইয়ের চেষ্টা করলেও বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি দলটি। শেষ পর্যন্ত লঙ্কানদের ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ২৮৮ রানে।
পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে কার্যকর ছিলেন লেগস্পিনার আবরার আহমেদ—৪১ রানে ৩ উইকেট, যার মধ্যে ছিল কুশল মেন্ডিস ও চারিথ আসালঙ্কার গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট। হারিস রউফও নেন ৩ উইকেট। তবে বল হাতে ও ফিল্ডিংয়ে শ্রীলঙ্কার পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক; বিশেষ করে ফাখর জামানকে তিনবার জীবন দেওয়ার খেসারত গুনতে হয়েছে ম্যাচেই।