জেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাতে চরকাজল ইউনিয়নের চরশিবা এলাকায় এই সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৩ নভেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও পটুয়াখালী-৩ আসনের প্রার্থী ঘোষণা স্থগিত রাখেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন ওঠে, এই আসনটি নির্বাচনি কৌশলের অংশ হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল হক নুরকে ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয় এবং তারা হাসান মামুনকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভে নামেন। এই প্রেক্ষাপটেই বৃহস্পতিবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়, যা পরবর্তীতে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ইলিয়াস রাঢ়ি, সবুজ রাঢ়ি, নূরনবী রাঢ়ি, হাসান রাঢ়ি, কুদ্দুস ব্যাপারী, ইয়াকুব রাঢ়ি, ওমর রাঢ়ি, রাহান রাঢ়ি ও সলেমান রাঢ়ি রয়েছেন।
অন্যদিকে, গণঅধিকার পরিষদের আহতরা হলেন যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল খলিফা, আজমির খলিফা, শাহাবুল খলিফা, আমেনা বেগম, নাঈম খলিফা ও নবীন খলিফা।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুব অধিকার পরিষদের সহসভাপতি ও ভিপি নুরের ভাই আমিনুল ইসলাম নুর বলেন, “চর কপালবেড়ায় আমাদের ওয়ার্ড কমিটি গঠনের সভা চলছিল। এ সময় বিএনপির মিছিল শেষে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে কয়েকজন গুরুতর আহত হন।”
অন্যদিকে, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়ে বলেন, “ঘটনাটি তদন্ত করে সত্য উদ্ঘাটন করা প্রয়োজন। কোনো উসকানিতে নয়, এখন শান্তি বজায় রাখাই সবার দায়িত্ব।”
গলাচিপা থানার ওসি মো. আশাদুর রহমান জানান, “দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পুরোনো পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে রাজনৈতিক বিরোধ সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, তবে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পর পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।