আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। ৩৪ বছর বয়সী এই তরুণ নেতা একাধিক প্রজন্মের মধ্যে সবচেয়ে কমবয়সী মেয়র হিসেবেও রেকর্ড গড়েছেন।
তরুণ ভোটারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করার মাধ্যমে মামদানি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তবে তার প্রার্থিতা ডেমোক্র্যাটিক দলে কিছু বিতর্কেরও জন্ম দেয়।
নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমোকে পরাজিত করেন। কেলেঙ্কারির কারণে চার বছর আগে পদত্যাগ করা কুয়োমো এই নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে ফেরার চেষ্টা করছিলেন।
অন্যদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মামদানিকে “কমিউনিস্ট” বলে অভিহিত করেন এবং ঘোষণা দেন যে, তিনি জয়ী হলে নিউইয়র্কের জন্য ফেডারেল বরাদ্দ বন্ধ করে দেবেন। ভোটের আগের রাতে ট্রাম্প রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়াকে পাশ কাটিয়ে কুয়োমোর প্রতি সমর্থন জানান।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত)। নিউইয়র্ক সিটি বোর্ড অব ইলেকশন জানায়, ১৯৮৯ সালের পর এবারই প্রথমবারের মতো শহরটিতে ভোটার উপস্থিতি ২০ লাখ ছাড়িয়েছে, যা এক ঐতিহাসিক রেকর্ড।
ভোট শেষে মামদানি সরাসরি ভাষণ না দিলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আংশিকভাবে নিজের জয় স্বীকার করেছেন। এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাবওয়ে ট্রেনের দরজা খুলে যাচ্ছে, আর ঘোষক বলছেন— “পরবর্তী এবং শেষ স্টেশন হলো সিটি হল।”
এই প্রতীকী বার্তাই যেন নিউইয়র্ক সিটির নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘোষণা করছে।