নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “আপনাদের চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে রয়েছে।” তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সতর্ক করে বলেন, নিজেদের মধ্যে বিভেদ বা বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া উচিত নয় যাতে প্রতিপক্ষ সেই সুযোগ নিতে পারে।
রোববার রাতে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান জানান, শিগগিরই ধাপে ধাপে বিএনপির একক প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, “দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তাকে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ধানের শীষের জয় মানে জনগণের জয়, গণতন্ত্রের জয়।”
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “সারাদেশের লাখো-কোটি সমর্থক যেন বিব্রত না হয়—এমন কোনো কাজ কেউ করবেন না। জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকে সঙ্গে রাখুন।”
আসন্ন নির্বাচনের প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে তফসিল ঘোষণা করবে। বিএনপি এ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
তিনি জানান, দেশের ৩০০ আসনে বিএনপির প্রার্থী বা সমর্থিত প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। “জনপ্রিয় দল হিসেবে বিএনপির প্রতিটি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন, তবে সবাইকে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়,” বলেন তিনি।
তারেক রহমান আরও জানান, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যেসব রাজনৈতিক দলের নেতারা বিএনপির সঙ্গে রাজপথে ছিলেন, এমন প্রার্থীদেরও বিএনপি সমর্থন দিতে পারে। এ কারণে কিছু আসনে দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়ন নাও পেতে পারেন।
তিনি অভিযোগ করেন, “বিএনপির বিজয় ঠেকাতে গিয়ে একসময় পতিত স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। এখনো বিএনপির অগ্রযাত্রা রুখতে অপপ্রচার ও অপকৌশল চলছে।”
তবে তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, “বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।”
নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে তৈরি সংশয় প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, “এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সংশয় যদি বাড়ে, তবে গণতন্ত্রের উত্তরণের পথ সংকটপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।”