জেলা প্রতিনিধি:
হেমন্তের সকালে রাজশাহীতে নেমেছে কুয়াশার চাদর। ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় মোড়ানো ছিল পুরো শহর, ঘাসের ডগায় জমেছে শিশিরের বিন্দু, আর হালকা হিমেল হাওয়ায় মানুষ টের পাচ্ছে—শীত এসে গেছে।
রোববার (৩ নভেম্বর) ভোর থেকে পদ্মা নদীর তীর, শহীদ কামারুজ্জামান সড়ক, সিপাইপাড়া, বোয়ালিয়া, লক্ষ্মীপুর, ভদ্রা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঘন কুয়াশা পড়তে দেখা যায়। কুয়াশার ঘনত্বে সকাল পর্যন্ত যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ২ ডিগ্রি কম। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমে শীতের আমেজ বাড়বে।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষক তারেক আজিজ জানান, “এটি মৌসুমের প্রথম সকালের কুয়াশা। মেঘ সরে যাওয়ার কারণে কুয়াশা পড়ছে, এবং আগামী কয়েক দিন এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “আজ সকাল ৬টায় দৃশ্যমানতা ছিল প্রায় ৪ কিলোমিটার—এটাই চলতি মৌসুমের এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন।”
শহরের মানুষও কুয়াশার এই ভোরকে উপভোগ করছে আনন্দের সঙ্গে। রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার বলেন, “সকালে জানালা খুলে দেখি চারপাশ ধোঁয়াটে। গাছের পাতায় শিশির আর কুয়াশার মিশ্রণটা একেবারে মনোমুগ্ধকর। এতদিনের গরম শেষে এই ঠান্ডা হাওয়া সত্যিই প্রশান্তি দিচ্ছে।”
ভদ্রা এলাকার চা দোকানি মুর্দেশ জামান বলেন, “ভোর থেকে চায়ের দোকানে ভিড় বেড়েছে। গরম চায়ের কাপে এখন সবাই শীতের আগমনী স্বাদ নিচ্ছে।”
পদ্মা নদীর তীরে সকালে হাঁটতে যাওয়া নারগিস বেগম বলেন, “নদীর ওপর সাদা কুয়াশার পর্দা টানানো ছিল দীর্ঘক্ষণ। সূর্য উঠলেও আলো ভেদ করে কুয়াশা কাটতে সময় লেগেছে।”
রাজশাহীর এই প্রথম কুয়াশা জানিয়ে দিল—গরম বিদায় নিচ্ছে, দরজায় কড়া নাড়ছে শীত।