জেলা প্রতিনিধি:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামে রাতের আঁধারে এক কৃষকের পেয়ারা বাগান ধ্বংস করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (২ নভেম্বর) গভীর রাতে সংঘটিত এ ঘটনায় প্রায় ৩০০ ফলন্ত পেয়ারা গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার সকালে বাগানে গিয়ে কাটা গাছের সারি দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন কৃষক জালাল উদ্দিন। চোখের জল থামছিল না তার। তিনি বলেন, “দুই বছর ধরে নিজের ২৫ কাঠা জমিতে এই বাগান করেছি। প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। গাছগুলোকে সন্তানের মতো বড় করেছি। এ বছর ভালো ফলন হয়েছিল— ভেবেছিলাম কিছুটা লাভ হবে। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল। এখন আমি নিঃস্ব।”
স্থানীয়রা জানান, জালাল উদ্দিনের বাগানের প্রতিটি গাছে ফল ধরেছিল এবং তিনি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে পেয়ারা বিক্রি শুরু করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু রোববার রাতে দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে বাগানের সব গাছ কেটে ফেলে রেখে যায়।
জালাল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, একই গ্রামের সামাদের ছেলে আলমগীরের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। “এর আগেও সে ক্ষতি করেছে, জাল কেটেছে, এমনকি আমার ছেলেকে অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখিয়েছে। আমি নিশ্চিত, এই কাজটিও তারই।”
তার ছেলে আকিব হোসেন বলেন, “আলমগীর আমাকে একাধিকবার মারধর করেছে। গলায় ছুরি ধরে হুমকি দিয়েছিল গাছ কেটে ফেলবে। শেষ পর্যন্ত সে হুমকি বাস্তবায়ন করেছে।”
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা মিললে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় কৃষকদের মতে, এ ধরনের ঘটনায় একজন পরিশ্রমী কৃষকের বছরের পর বছর পরিশ্রম মুহূর্তেই ধ্বংস হয়ে যায়। তারা দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।