ক্রীড়া প্রতিবেদক:
টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ হাতছাড়া হয়েছিল বাংলাদেশের। চট্টগ্রামে তৃতীয় ম্যাচ ছিল কেবল মর্যাদা রক্ষার লড়াই। তবে সেখানেও ব্যর্থ লিটন দাসের দল। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই হতাশাজনক পারফরম্যান্সে ৫ উইকেটে হেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।
টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান তোলে বাংলাদেশ। দলের একমাত্র উজ্জ্বল দিক ছিলেন ওপেনার তানজিদ তামিম, যিনি ৬২ বলে ৮৯ রান করেন— যা তার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস।
জবাবে ক্যারিবিয়ানরা ১৬ ওভার ৫ বলেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। শুরুতে কিছুটা চাপে পড়লেও রোস্টন চেস (৫০) ও আকিম অগাস্টে (৫০)-র ব্যাটে সহজ জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশ বোলিংয়ে ভালো শুরু করেছিল। শেখ মেহেদি তৃতীয় ওভারে আলিক আথানজেকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন। এরপর নাসুম আহমেদ ফেরান ব্রেন্ডন কিংকে (৮)। কিন্তু এরপর আর সুবিধা করতে পারেনি টাইগাররা। রিশাদ হোসেন আমির জাঙ্গুকে (২৩ বলে ৩৪) আউট করলেও পরের উইকেট জুটিতেই ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যায়।
এর আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশর শুরু ছিল সাবধানী। ওপেনার পারভেজ ইমন ১০ বলে ৯ রান করে ফিরলে চাপ বাড়ে। লিটন দাস নামেন তিনে, প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকালেও ৯ বলে ৬ রান করেই আউট হন।
তামিমের সঙ্গে সঙ্গী সাইফ হাসান কিছুটা সময় টিকেছিলেন (২২ বলে ২৩), তবে ইনিংসের গতি বাড়াতে পারেননি। পরের ব্যাটাররা একে একে ব্যর্থ— নুরুল হাসান সোহান, জাকের আলি, কিংবা রিশাদ— কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
ফলে তানজিদ তামিমের একক লড়াই সত্ত্বেও দলীয় সংগ্রহ থেমে যায় ১৫১ রানে। শেষ ওভারের প্রথম বলেই আউট হন তামিম, বঞ্চিত হন প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি থেকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বল হাতে সফল ছিলেন গুড়াকেশ মোতি ও রোস্টন চেস, দুজনেই নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ নিশ্চিত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।