ক্রীড়া প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয়ের খুব কাছে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হলো বাংলাদেশ। ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান করতে পারে স্বাগতিকরা। ফলে ১৪ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২১ রান। প্রথম বলেই ২ রান নেন সাকিব আল হাসান, এরপর ওয়াইড দেন আকিল হোসেন। দ্বিতীয় বলে এক রান নিয়ে স্ট্রাইকে যান রিশাদ হোসেন। কিন্তু তৃতীয় বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। সেই আউটের পরই কার্যত শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের জয়ের আশা। শেষ তিন বলে ১৭ রান তোলার সমীকরণ আর মেলাতে পারেননি সাকিব ও নাসুম আহমেদ।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অধিনায়ক শাই হোপ করেন দলের সর্বোচ্চ ৫৫ রান। আলিক আথানজে করেন ৩৩ বলে ৫২ রান। এই দুজনের ১০৫ রানের জুটিতেই ভর করে তিন অঙ্কে পৌঁছায় ক্যারিবিয়ানরা। তবে জুটি ভাঙার পর পরই ধস নামে তাদের ব্যাটিংয়ে। শেষ দিকে মুস্তাফিজ-নাসুমদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৫০ রানের ঘরও ছুঁতে পারেনি দলটি। বাংলাদেশের হয়ে মুস্তাফিজুর রহমান নেন ২১ রানে ৩ উইকেট, নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন নেন ২টি করে, আর তাসকিন আহমেদ নেন ১টি উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই ছিল বাংলাদেশের। ওপেনার তানজিদ তামিম ও সাইফ হাসান সাবধানী সূচনা করলেও ইনফর্ম সাইফ ১১ বলে ৫ রান করে হোল্ডারের বলে আউট হন। এরপর লিটন দাস কিছুটা আগ্রাসী ব্যাটিং করে ১৭ বলে ২৩ রান করেন, তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি।
তানজিদ তামিম এক প্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি পূর্ণ করেন ৩৮ বলে। তবে ফিফটির পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি—৪৮ বলে ৬১ রানে থামেন। তাঁর বিদায়ের পরই ব্যাটিংয়ে ছন্দ হারায় বাংলাদেশ। প্রচুর ডট বল খেলে চাপ বাড়িয়ে তোলেন জাকের আলি (১৮ বলে ১৭)। শেষদিকে শামিম হোসেন, রিশাদ ও নাসুমের ব্যাটে আসেনি প্রয়োজনীয় দ্রুত রান, ফলে হারের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিকদের।
সিরিজে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ট্রফি নিশ্চিত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ম্যাচটি এখন বাংলাদেশের জন্য কেবলই সান্ত্বনা জয়ের সুযোগ।