নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষা কার্যক্রম জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে লং মার্চ করেছেন। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর অভিমুখে এই লং মার্চ শুরু হয়।
‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটি’র ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শতশত শিক্ষক অংশ নেন। লং মার্চ চলাকালে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন— “ইবতেদায়ী শিক্ষক, হয়েছে কেন ভিক্ষুক?”, “চাকরি আছে বেতন নাই, এমন কোনো দেশ নাই”, “এক দফা এক দাবি, জাতীয়করণ করতে হবে” প্রভৃতি।
লং মার্চের নেতৃত্ব দেন কমিটির আহ্বায়ক শামসুল আলম, সদস্য সচিব মোহাম্মদ আল আমিন এবং বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী মোখলেছুর রহমান।
এ সময় শিক্ষকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব সাঈদ মুস্তাফিজ ও শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ শান্ত।
সাঈদ মুস্তাফিজ বলেন, “শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি সরকার বারবার উপেক্ষা করছে। ৩৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা সম্ভব হলে ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলো কেন নয়? দাড়ি-টুপি থাকলেই কি তাদের বঞ্চিত করা হবে?” তিনি প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনারা এই মানুষগুলোর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না। এরা জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধা।”
আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী শামসুল আলম বলেন, “সরকার দ্রুত প্রজ্ঞাপন না দিলে আমরা সারাদেশে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেব। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না।”
শিক্ষকদের চার দফা দাবি:
১. অনুদানভুক্ত ও অনুদানবিহীন সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার দ্রুত জাতীয়করণ।
২. এমপিওভুক্তির জন্য যাচাই-বাছাই সম্পন্ন ১,০৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন ও প্রজ্ঞাপন প্রকাশ।
৩. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আদলে ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি।
৪. স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার জন্য আলাদা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা।
প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে রাজধানীতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন এই শিক্ষকরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।