ক্রীড়া প্রতিবেদক:
আগের ম্যাচে সুপার ওভারের নাটকীয় পরাজয়ে হতাশ হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সিরিজের শেষ ম্যাচে আর কোনো নাটক নয়—মিরপুরে পুরোপুরি আধিপত্য দেখিয়ে দারুণ জয় তুলে নিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ক্যারিবিয়ানদের ১৭৯ রানে হারিয়ে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। রানের হিসেবে এটি বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম জয়।
বৃহস্পতিবার শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ২৯৬ রান তোলে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার সৌম্য সরকার (৮৬ বলে ৯১) ও সাইফ হাসান (৭২ বলে ৮০) গড়েন ১৭৬ রানের রেকর্ড জুটি—ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ। ইনিংসের শেষ দিকে কিছুটা ব্যাটিং ধস নেমে গেলেও বড় সংগ্রহ গড়ে ফেলে দল।
২৯৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই স্পিন জালে জড়িয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই নাসুম আহমেদের ঘূর্ণিতে প্রথম আঘাত—এলবিডব্লিউ আলিক আথানেজ। এরপর ধারাবাহিকভাবে নাসুম, তানভির ইসলাম ও রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে একে একে ফিরতে থাকেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা। মাত্র ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় পুরো দল।
অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচে একমাত্র পেসার হিসেবে খেলা মোস্তাফিজুর রহমানকে এক ওভারও বল করতে হয়নি—তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এমন অভিজ্ঞতা এটাই প্রথম।
বাংলাদেশের হয়ে নাসুম আহমেদ ১১ রানে ৩ উইকেট নেন, রিশাদ হোসেনের শিকার ৩ উইকেট ৫৪ রানে। তানভির ইসলামও ছিলেন কার্যকর।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে কেবল আকিল হোসেন কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন, ১৫ বলে ২৭ রানে হারের ব্যবধান কমান সামান্যই।
যদিও সিরিজ জিতে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়নি বাংলাদেশের—তারা দশেই রয়ে গেছে। হোয়াইটওয়াশ করতে পারলে মিরাজরা উঠতে পারতেন নবম স্থানে।
মিরপুরের মন্থর ও টার্নিং উইকেটে সৌম্য-সাইফের ব্যাটিং যেমন দারুণ ভিত্তি দেয়, তেমনি স্পিনারদের নিয়ন্ত্রণে প্রতিপক্ষকে পুরোপুরি কোণঠাসা করে বাংলাদেশ। ইনিংস বিরতিতেই ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং বিপর্যয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই নয়, বরং হারের ব্যবধানই ছিল আলোচনার বিষয়।