ক্রীড়া প্রতিবেদক:
শ্বাসরুদ্ধকর উত্তেজনায় ভরা এক ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সুপার ওভারে হেরে গেল বাংলাদেশ। মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি মূল সময় শেষে টাই হওয়ায় গড়ায় ওয়ানডে ক্রিকেটে খুবই বিরল সুপার ওভারে। আর সেখানেই হতাশার পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা।
সুপার ওভারে বাংলাদেশের হয়ে বোলিং করেন মোস্তাফিজুর রহমান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তোলে ১১ রান। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই নো বলের সুবাদে ৫ রান তুলে নেয় বাংলাদেশ। হাতে থাকে ছয় বলের মধ্যে পাঁচ বল, দরকার মাত্র ৬ রান। কিন্তু বিপর্যয় ঘটে পরের বলেই। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সৌম্য সরকার ক্যাচ দিয়ে ফিরলে চাপ বাড়ে। এরপর আর ম্যাচ ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৯ রান তুলেই থামে ইনিংস।
মূল ম্যাচে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ তোলে ২১৩ রান। সৌম্য সরকারের ৪৫, অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের ৩২ এবং শেষ দিকে রিশাদ হোসেনের ঝড়ো ১৪ বলে ৩৯ রানের ইনিংসে এই স্কোরে পৌঁছায় দল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুতেই ধাক্কা খায়। নাসুম আহমেদের বলে ব্রেন্ডন কিং আউট হন ইনিংসের তৃতীয় বলেই। এরপর অ্যাথানেজ ও কার্টি সাময়িক প্রতিরোধ গড়লেও রিশাদ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজের স্পিন ঘূর্ণিতে এক পর্যায়ে ১৩৩ রানেই ৭ উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা।
তবে লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের সঙ্গে নিয়ে শেই হোপ লড়াই চালিয়ে যান। জাস্টিন গ্রেভসকে সঙ্গে নিয়ে সপ্তম উইকেটে ৪৪ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ৫ রান। বল হাতে ছিলেন বাংলাদেশের পার্ট টাইম বোলার সাইফ হাসান। নাটকীয় মুহূর্ত আসে শেষ বলে, যখন ৩ রান দরকার ছিল ক্যারিবীয়দের। বলটা তুলে দেন সাইফ, উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান ক্যাচ মিস করেন, ব্যাটাররা দৌড়ে নেয় ২ রান। ম্যাচ হয়ে যায় টাই।
এরপরই গড়ায় রুদ্ধশ্বাস সুপার ওভারে, যেখানে ভাগ্য সহায় হয়নি বাংলাদেশের। ম্যাচে রিশাদ হোসেন ৩টি উইকেট নেন, নাসুম ও তানভীর ইসলাম পান ২টি করে উইকেট।
এই হারে তিন ম্যাচের সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচ হয়ে উঠবে সিরিজ নির্ধারণী।