নারী বিশ্বকাপ অভিযান দারুণভাবে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল নিগার সুলতানার দল। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়াই, যেখানে বিতর্কিত আম্পায়ারিং না হলে হয়তো জয়ও ধরা দিত। তবে তৃতীয় ম্যাচে সেই আত্মবিশ্বাসের ছিটেফোঁটাও দেখা গেল না। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০০ রানে বড় পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো টাইগ্রেসদের।
শুক্রবার গুয়াহাটির বারসাপারা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ড টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে তোলে ২২৭ রান। জবাবে মাত্র ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ, ইনিংস শেষ হয় ৩৯.৫ ওভারে।
জয়ের জন্য ২২৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমেই ধস নামে বাংলাদেশের টপ অর্ডারে। প্রথম পাঁচ ব্যাটার খেলেছেন ৭৬ বল, করেছেন মাত্র ১৪ রান। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি খেলেছেন ২৮ বল, রান করেছেন মাত্র ৪। ৭ নম্বরে নেমে স্বর্ণা আক্তার করেন ৪ বলে ১ রান। ৩৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে দল।
কিছুটা লড়াই করেছিলেন ফাহিমা খাতুন। ৮০ বল খেলে করেন ৩৪ রান। তাঁর সঙ্গে রানে অবদান রাখেন নাহিদা আক্তার (১৭) ও রাবেয়া খান (২৫)। তাঁদের অবদানে শতকের গণ্ডি পার করে বাংলাদেশ, তবে পরাজয়ের ব্যবধানই কেবল কমে।
বল হাতে শুরুটা ভালোই ছিল বাংলাদেশের। আগের দুই ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করা মারুফা আক্তার এদিন ছন্দে ছিলেন না। তবে রাবেয়া খান নবম ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান। এরপর সুজি বেটস রানআউট হলে ৩৮ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড।
কিন্তু এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় কিউইরা। অধিনায়ক সোফি ডিভাইন ও ব্রুক হ্যালিডে গড়েন ১১২ রানের দুর্দান্ত জুটি। ব্রুক করেন ৬৯, সোফির ব্যাটে আসে ৬৩ রান। যদিও ২৬ রানে থাকাকালীন একটি সহজ ক্যাচ ফেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জ্যোতি।
শেষ দিকে ফাহিমা ও নিশিতা উইকেট তুললেও কিউইদের সংগ্রহ তখন লড়াইয়ের জন্য যথেষ্টই বড়। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন ফাহিমা খাতুন—১০ ওভারে মাত্র ৩০ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।