তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিমালার আওতায় কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করা হবে না, বরং নতুন গণমাধ্যমের অনুমতিও দেওয়া হবে। তবে এই অনুমতি দেওয়া হবে বিদ্যমান নীতিমালা অনুসারে, কারণ বর্তমান সরকারের মেয়াদে নতুন আইন প্রণয়ন সম্ভব নয়।
বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরে রাজনৈতিক বিবেচনায় টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেখানে পক্ষপাত ছিল। আমাদের সরকারের নীতি ভিন্ন—আমরা কোনো মিডিয়া বন্ধ করব না। সেই কারণেই নতুন মিডিয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।”
তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, “আমরা চাই, নানা মত ও স্বরের মানুষ মিডিয়ায় প্রবেশ করুক। যেহেতু কোনো মিডিয়া বন্ধ করছি না, তাই যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী কণ্ঠ তুলে ধরেন, তাঁদেরও গণমাধ্যমে সুযোগ দিতে হবে।”
বর্তমানে দেশে ৫২টি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন রয়েছে, যার মধ্যে ৩৪টি সক্রিয় বলে জানান তিনি। নতুন অনুমতির ক্ষেত্রে সবাই নিউজ চ্যানেলের জন্য আবেদন করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি তাদের বলেছি, শিশুদের জন্য চ্যানেল বা আরও একটি খেলাধুলার চ্যানেলের আবেদন করতে।”
মাহফুজ আলম বলেন, সরকার মিডিয়া শিল্পে একটি সুস্থ, মুক্ত ও স্বনিয়ন্ত্রিত পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছে। তিনি বলেন, “আমরা চাচ্ছি, গণমাধ্যম স্ব-নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থায় চলুক। মন্ত্রণালয় সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে না।”
তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী, নতুন গণমাধ্যম অনুমোদনের ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক প্রভাব না রেখে, পেশাদার ও গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিত করাই সরকারের মূল লক্ষ্য।