বাংলাদেশ সরকার ভারতের বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানি করতে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি এ চাল সরবরাহের কাজ পেয়েছে। প্রতি টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৫৯.৭৭ মার্কিন ডলার। এ হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় মোট ব্যয় হবে প্রায় ২১৯ কোটি ১০ লাখ টাকা।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “আমরা সব সময় খাদ্যশস্যের বিষয়ে সতর্ক। বর্তমানে দেশে চালের কোনো সংকট নেই, তবে আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মজুত জোরদার করা হচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহ বাধাগ্রস্ত হলে যাতে খাদ্যসংকট না হয়, সে জন্যই এই আমদানি।”
চাল সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার খোলাবাজারে বিক্রয় (ওএমএস) কার্যক্রমও পুনরায় শুরু করেছে।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জরুরি প্রয়োজন বিবেচনায় ৪ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এর আওতায় ভারত ছাড়াও পাকিস্তান ও ভিয়েতনাম থেকেও চাল আনা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারত থেকে চাল সাধারণত বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়, তবে আখাউড়া স্থলবন্দরও মাঝে মাঝে ব্যবহৃত হয়। ভারতীয় ট্রাকে আসা চাল বাংলাদেশের শুল্ক কর্তৃপক্ষ যাচাই করে ছাড়পত্র দেওয়ার পর বাজারজাত করা হয়।
এছাড়া চীন, কানাডা ও সৌদি আরব থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টন সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১ হাজার ৮৪৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।