গাজার কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চল থেকে ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহারে সম্মতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি জানান, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নিতে রাজি হয়েছে তেলআবিব।
ট্রাম্প বলেন, হোয়াইট হাউস সম্প্রতি একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছে যেখানে গাজায় সেনা প্রত্যাহারের অঞ্চলগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই নির্দিষ্ট সীমারেখাগুলো থেকেই প্রথম দফায় সেনা সরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল।
তিনি আরও বলেন, “হামাস যদি নিশ্চিত করে যে তারা যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে চলবে, তবে এই প্রক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে শুরু হবে। বন্দি ও জিম্মিদের বিনিময়ও কার্যকর হবে। এর মাধ্যমে পরবর্তী ধাপের সেনা প্রত্যাহারের পথ সুগম হবে।”
তবে যুদ্ধবিরতির পরও গাজার পুরো এলাকা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হচ্ছে না। বিবিসি ভেরিফাই বলছে, হোয়াইট হাউসের মানচিত্র অনুযায়ী প্রথম ধাপে সেনা প্রত্যাহারের পরও গাজার প্রায় ৫৫ শতাংশ অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর উপস্থিতি থাকবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবের কয়েকটি মূল শর্তে সম্মতি জানিয়েছে হামাস। সংগঠনটি জানিয়েছে, গাজায় যেসব ইসরায়েলি নাগরিক জিম্মি হয়ে আছে, তাদের মুক্তি দেওয়া হবে। যারা ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের মরদেহও হস্তান্তর করা হবে। এর বিনিময়ে হামাস চায়—গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং হামলা বন্ধ।
হামাসের এই ঘোষণার পর গাজায় সহিংসতা বন্ধে ইসরায়েলকে আহ্বান জানান ট্রাম্প। তবে সেই আহ্বানের মধ্যেও থেমে থাকেনি ইসরায়েলি আক্রমণ। শনিবার গাজার বিভিন্ন স্থানে চালানো হামলায় অন্তত ৫৫ জন নিহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায়, ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো গাজা শহরে গোলাবর্ষণ চালাচ্ছে এবং আকাশপথেও হামলা চালানো হয়েছে। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকাও হামলার শিকার হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ছাড়িয়েছে।