বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি কতটি আসনে প্রার্থী দেবে বা ছাড় দেবে, সেটি এখনো আলোচনার ও বিবেচনার পর্যায়ে রয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক দল। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করছি। শিগগিরই আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে নামার জন্য ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়া হবে। তবে তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে তফসিল ঘোষণার পর।”
সালাহউদ্দিন জানান, প্রতিটি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। অনেক আসনে ১০ থেকে ১২ জনের মধ্যে থেকে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে।
নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জোট ও সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। জরুরি কিছু ছাড়া এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয়, যা জাতির জন্য নতুন সংকট তৈরি করতে পারে।”
জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “জামায়াত ২৫০টি আসনে ছাড় দেবে কি না, সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বিএনপি কত আসন ছাড়বে, তা এখনো আলোচনার বিষয়।”
গণতন্ত্র রক্ষায় বিরোধী দলগুলোর ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “মতপার্থক্য থাকলেও ফ্যাসিবাদবিরোধী সব দলকে গণতন্ত্র রক্ষায় একত্র থাকতে হবে।”
আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে সালাহউদ্দিন বলেন, “আওয়ামী লীগের বিচার জনগণ করবে রাজনৈতিক ও আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। গণহত্যার পরও তাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। বরং তারা বিদেশে বসে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাই আইসিটি কোর্টে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “অসাংবিধানিক বা অবৈধ কোনো পথ গ্রহণ করা হলে জাতি নতুন সংকটে পড়বে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব হবে গণতান্ত্রিক ধারায় দেশকে এগিয়ে নেওয়া ও জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা।”