যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া শান্তি প্রস্তাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আংশিকভাবে সম্মতি জানানোয় ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বিশ্বাস করেন, হামাস এখন স্থায়ী শান্তির জন্য প্রস্তুত এবং এ কারণে ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার ট্রাম্প হামাসকে একটি সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বলেন, রোববার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে (যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময়) তাঁর প্রস্তাব মেনে নিতে হবে, অন্যথায় “নরক যন্ত্রণা”র মুখোমুখি হতে হবে। এর কিছুক্ষণ পর হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, তারা প্রস্তাবের বেশিরভাগ অংশ মেনে নিতে প্রস্তুত এবং জীবিত ও মৃত সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি আছে। তবে তারা কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত নিয়ে আরও আলোচনা চায়।
এর পরই ট্রাম্প তাঁর সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে লেখেন, “হামাসের সাম্প্রতিক বিবৃতির পর আমি বিশ্বাস করি তারা শান্তির জন্য প্রস্তুত। ইসরায়েলকে এখনই গাজায় হামলা বন্ধ করতে হবে, যাতে জিম্মিদের নিরাপদে ও দ্রুত মুক্ত করা সম্ভব হয়।” তিনি আরও বলেন, চলমান সহিংসতায় জিম্মিদের মুক্তির চেষ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে।
গত সোমবার হোয়াইট হাউস একটি ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করে, যাতে ইসরায়েল প্রাথমিকভাবে সম্মতি দেয়। পরিকল্পনায় বলা হয়, গাজায় যুদ্ধ তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করতে হবে এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ২০ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। একই সঙ্গে মৃত জিম্মিদের দেহাবশেষ ফেরত দিতে হবে। এর বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে আটক বহু ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
ট্রাম্প বলেন, “যেসব বিষয়ে এখনো সমঝোতা হয়নি, সেগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। এই উদ্যোগ কেবল গাজার জন্য নয়, বরং গোটা মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত শান্তি আনার প্রচেষ্টা।”
হামাস জানিয়েছে, তারা গাজার ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থা নিয়ে আরও আলোচনার পক্ষে। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, তারা গাজা উপত্যকার প্রশাসন একটি স্বাধীন, টেকনোক্র্যাটিক ফিলিস্তিনি সংস্থার হাতে তুলে দিতে চায়—যা জাতীয় ঐকমত্য ও আরব-ইসলামি বিশ্বের সমর্থনের ভিত্তিতে গঠিত হবে।