দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটিকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার এখন পর্যটক-দর্শনার্থীতে ভরপুর। শহরের হোটেল, রিসোর্ট ও সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েক লাখ মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে। পর্যটন সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এ ছুটিতে কক্সবাজারে পাঁচ লাখের বেশি পর্যটক আসবেন এবং কয়েকশ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে।
মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রেন, বাস ও প্রাইভেট গাড়িতে করে ভ্রমণপ্রেমীরা কক্সবাজারে পৌঁছান। বিকেল থেকে সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলী, ইনানী ও হিমছড়িতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। যদিও হঠাৎ বৃষ্টিতে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েন পর্যটকরা।
বিভিন্ন বয়সী মানুষ সাগরে গোসল, সূর্যাস্ত দেখা ও সৈকতে হাঁটাহাঁটিতে ব্যস্ত সময় কাটান। হোটেল-মোটেল জোন, কলাতলী ডলফিন মোড়, বাইপাস সড়কসহ শহরের মূল সড়কগুলোতে যানজট তৈরি হয়েছে। বড় বাসগুলো টার্মিনালে থাকলেও ব্যক্তিমালিকানাধীন গাড়ির কারণে শহরের ভেতরে ভিড় ও গাড়ির চাপ বেড়েছে।
পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ, জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ও নারী পুলিশ সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন। লাইফগার্ড সদস্যরা সৈকতে সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। কোথাও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চালু রয়েছে তথ্যকেন্দ্র।
হোটেল-মোটেলের অধিকাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই মৌসুমেই আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন তারা।
টুয়াকের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিল্কী বলেন, “শুধু কক্সবাজার নয়, ইনানী ও হিমছড়িতেও পর্যটকদের উপস্থিতি বেড়েছে।”
হোটেল ওশান প্যারাডাইসের বিপণন ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ নুর সোমেল জানান, “ছুটিতে হোটেল পুরোপুরি বুকড। এভাবে পুরো মৌসুম ভরপুর থাকলেই ভালো হবে।”
পর্যটকদের নিরাপত্তা ও ভোগান্তি কমাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক এম এ মান্নান ও পুলিশ সুপার সাইফুদ্দিন শাহীন।
সৈকতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সি সেইফ লাইফগার্ড সুপারভাইজার মোহাম্মদ ওসমান জানান, “বিশ্ব পর্যটন দিবসের পর থেকেই পর্যটকের চাপ বেড়েছে। এই ভিড় শনিবার পর্যন্ত চলবে বলে আশা করছি।”