চার দিনব্যাপী টানটান উত্তেজনা ও অবরোধের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে খাগড়াছড়ি। বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকে জেলা সদর ও আশপাশের এলাকায় সীমিত পরিসরে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে, দোকানপাটও খুলতে শুরু করেছে।
স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগের প্রতিবাদে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’ সংগঠন অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছিল। তবে শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রতি সম্মান জানিয়ে ও প্রশাসনের দেওয়া ৮ দফা আশ্বাসের ভিত্তিতে সংগঠনটি মঙ্গলবার রাতে তাদের ফেসবুক পেজে অবরোধ ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করার ঘোষণা দেয়।
অবরোধ স্থগিত হলেও জনমনে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে। খাগড়াছড়ি জেলায় ১৪৪ ধারা বহাল রয়েছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সহিংসতার পর জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠে রয়েছে। একইসঙ্গে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাদের প্রতিবেদন জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. ছাবের জানান, রিপোর্টটি পুলিশ মারফত আদালতে জমা দেওয়া হবে।
অবরোধ চলাকালে গত ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৩ জন নিহত হন, আহত হন অনেকে। গুইমারার রামসু বাজারে বেশ কিছু দোকান ও বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, “ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। যানবাহন চলছে, এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই।”