ইসরায়েলি অবরোধ উপেক্ষা করে মানবিক সহায়তা নিয়ে গাজার দিকে এগিয়ে চলেছে ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’। ছোট ছোট ত্রাণবাহী নৌকাগুলোর বহরটি এখন গাজার উপকূল থেকে মাত্র ১২০ নটিক্যাল মাইল দূরে, যা ইসরায়েলের জন্য ‘চরম সংবেদনশীল’ এলাকা হিসেবে পরিচিত।
বুধবার (১ অক্টোবর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফ্লোটিলায় বিভিন্ন দেশের মানবাধিকারকর্মীরা রয়েছেন, যাঁরা গাজার মানুষদের জন্য খাবার, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছেন।
ফ্লোটিলার অন্যতম সংগঠক ডেভিড অ্যাডলার এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট করে আশঙ্কা প্রকাশ করেন, “এটাই হয়তো আমার শেষ চিঠি।” তিনি জানান, ইসরায়েলি নৌবাহিনী গত রাতে তাদের জাহাজে হামলা চালিয়ে ভয় দেখিয়েছে এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
ইতিমধ্যে স্পেন ও ইতালি থেকে আসা কর্মীরা আন্তর্জাতিক জলসীমায় প্রবেশ করেছেন এবং তুরস্কের ড্রোনগুলো সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে। লাইভ সম্প্রচারের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা ঘটনাপ্রবাহ বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরছেন।
অস্ট্রেলিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাট থিসলথওয়াইট ফ্লোটিলায় হামলা ও ড্রোন হুমকির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি সব পক্ষকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানান।
এদিকে ইসরায়েল দাবি করছে, গাজার ওপর তাদের অবরোধ ‘আইনসম্মত’, আর এই ফ্লোটিলা সেই অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করছে। তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে দুর্গতদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোকে বৈধ বলা হয়েছে।
তুরস্কের তরুণ আইনপ্রণেতা জেহরানুর আয়দেমির এক্স পোস্টে লেখেন, “আমাদের চোখ, কান ও হৃদয় সুমুদ ফ্লোটিলার সঙ্গে আছে।”
সুমুদ ফ্লোটিলার অগ্রযাত্রা যত গাজার দিকে এগোচ্ছে, উত্তেজনা ও সংঘাতের আশঙ্কাও তত বাড়ছে।