বাংলাদেশ লায়ন্স ফাউন্ডেশনের ২০২৫-২০২৬ এবং ২০২৬-২০২৭ কার্যবছরের চেয়ারম্যান ও বোর্ড সদস্য নির্বাচনের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন আদালত। ফাউন্ডেশনের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র সহকারী জজ ১ম আদালত এই আদেশ দেন।
মামলার বাদী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রাক্তন জেলা গভর্নর ও লাইফ মেম্বার মিসেস ফারহানা নাজ। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান চেয়ারম্যান এ. কে. এম. রেজাউল হক (জুনু) ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্বে থাকার পর থেকেই নিয়মিতভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি গঠনতন্ত্রে এককভাবে পরিবর্তন আনেন, সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নিজের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করেন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করেন।
এছাড়া, তার বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাতিলের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার অভিযোগও আনা হয়েছে। বাদীর দাবি, গত ১২ বছরে রেজাউল হকের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী দাঁড়াতে পারেননি। চলতি বছরও চারজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও তা বাতিল করা হয়।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, চেয়ারম্যান রেজাউল হক ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ নূরের রহমান একযোগে গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে বেশ কয়েকজনকে অবৈধভাবে লাইফ মেম্বার করে সংগঠনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ক্ষুণ্ন করেছেন। এমনকি চলমান ইলেকশন কমিটির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও রেজাউল হক নিজেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পুনরায় নির্বাচিত হন, যা গুরুতর স্বার্থের সংঘাতের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আদালতের আদেশ অনুযায়ী, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। ফলে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত নির্বাচন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
বাদীপক্ষ সংগঠনের সার্বিক অনিয়ম ও দুর্নীতির দ্রুত তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।