সূর্যকুমার যাদবের আত্মবিশ্বাসে ভরা কথায় স্পষ্ট ভারত দলের গর্ব। তাঁর দল যেভাবে খেলছে, তাতে তা গর্ব করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তবে পাকিস্তানকে নিয়ে তাঁর দেওয়া মূল্যায়ন ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কিছুটা কটু মনে হয়েছে।
সূর্যকুমার বলেছেন, “যদি দুই দল ১৫-২০ বার মুখোমুখি হয় আর ফলাফল হয় প্রায় সমান—যেমন ৭-৭ বা ৮-৭—তাহলে সেটাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কিন্তু যদি ফলাফল হয় ১৩-০ বা ১০-১, তখন এটা আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়। তবে হ্যাঁ, আমরা ওদের চেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলেছি।”
এখানে ভারত-পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বলা হচ্ছে। পরিসংখ্যানও একই কথা বলে—টি-টোয়েন্টিতে ভারতের জয় ১২টি, পাকিস্তানের মাত্র ৩টি। এই হিসেব নিয়েই আজ সন্ধ্যায় এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রথমবার ভারত ও পাকিস্তান ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে।
ভারতের জন্য এটি এক গুরুত্বপূর্ণ ফাইনাল, পাকিস্তানের জন্য অনেক প্রশ্নের জবাব। টুর্নামেন্টে ভারত পাকিস্তানকে হারিয়েছে দুই মাচেই। এমনকি ফাইনালের আগে পাকিস্তানের সঙ্গে ফটোসেশনেও অংশ নেয়নি ভারতীয় দল। পাকিস্তান এসব প্রতিক্রিয়া পছন্দ করছে না এবং নিজেদের খেলা দিয়ে জবাব দিতে উদগ্রীব।
ফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় নিশ্চিত করার পর পাকিস্তানের সালমান আগার বলেন, “আমরা রোমাঞ্চিত। জানি আমাদের কী করতে হবে। আমরা যে কোনো দলকে হারানোর যোগ্য দল এবং রোববার মাঠে নামার পর সেরাটা দেব।”
পাকিস্তানের পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিও আত্মবিশ্বাসী, “যে যা বলুক, এখনো কেউ ফাইনালে ওঠেনি। আমরা এখানে জিততে এসেছি। যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্য প্রস্তুত।”
ফাইনালে নজর থাকবে অভিষেক শর্মা বনাম শাহিন শাহ আফ্রিদির লড়াইয়ে। যদিও শাহিনের বিরুদ্ধে অভিষেক দুর্দান্ত খেলে আসছেন। পাশাপাশি সূর্যকুমার যাদবকে সামলানো হবে পাকিস্তানের হ্যারিস রউফকে। টি-টোয়েন্টির অন্যতম সেরা ব্যাটার সূর্যকুমার এখনও পুরো ফর্মে নেই, তবে তার ইনিংস ভারতীয় দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
১৯৮৪ সালে শুরু হওয়া এশিয়া কাপের ৪১ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল মুখোমুখি হচ্ছে। আজকের ম্যাচ হবে কঠিন এবং উত্তেজনাপূর্ণ। শেষ হাসি কাদের—ভারত নাকি পাকিস্তান—সেই অপেক্ষায় রয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীরা।