২০২৬ সালের হজ মৌসুমকে সামনে রেখে আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সরকারিভাবে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, বিমান ভাড়াসহ বিভিন্ন খরচে কিছুটা কাটছাঁট হওয়ায় এবার হজের মোট ব্যয় গতবারের তুলনায় কমবে।
বিকেলে সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্যাকেজ অনুমোদন শেষে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।
চলতি বছর সরকারিভাবে তিনটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। এর পাশাপাশি বেসরকারি ব্যবস্থাপনার জন্যও সরকার নির্ধারিত একটি ফিক্সড প্যাকেজ ঘোষণা করবে। এবারের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো হজ এজেন্সি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম দামে প্যাকেজ দিতে পারবে না।
হজ খরচ কত কমবে?
গতবার (২০২৫ সালে) সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ নম্বর প্যাকেজে হজে যেতে খরচ হয়েছিল ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা, ২ নম্বর প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা, এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সর্বনিম্ন খরচ ছিল ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা।
এবার নতুন প্যাকেজ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল প্যাকেজে হারাম শরিফ থেকে ৫০০-৭০০ মিটার দূরত্বে আবাসনের ব্যবস্থা থাকবে। দ্বিতীয় প্যাকেজে মক্কার হারাম শরিফ থেকে ২ কিলোমিটারের মধ্যে আবাসন সুবিধা দেওয়া হবে। সবচেয়ে সাশ্রয়ী তৃতীয় প্যাকেজে হজযাত্রীরা অবস্থান করবেন আজিজিয়া এলাকায়।
বিমান ভাড়া কমছে
বিমান ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনার পর ধর্ম মন্ত্রণালয় ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। গতবার বিমানের টিকিটের দাম ছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮২০ টাকা। এবার তা ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা কমে আসতে পারে।
ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, “বিমান ভাড়া নিয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। শুল্ক ও ফি কমানো নিয়েও আলোচনা চলছে। প্যাকেজ ঘোষণায় বিস্তারিত জানানো হবে।”
ধীরগতির নিবন্ধন
হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে ২০২৬ সালের মে মাসের শেষ সপ্তাহে। প্রাথমিক নিবন্ধন শুরু হয় গত ২৭ জুলাই থেকে। তবে প্যাকেজ ঘোষণায় দেরির কারণে এখন পর্যন্ত নিবন্ধন সাড়া তুলনামূলক কম। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারিভাবে ৯৫৪ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১,১৩৫ জন প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
হাব মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, “প্যাকেজ ঘোষণার পর নিবন্ধনে গতি আসবে। মানুষ খরচ জানার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চায়।”
এবার সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশি হজ পালনের সুযোগ পাবেন। গত দুই বছর উচ্চ খরচ ও অন্যান্য কারণে বাংলাদেশ কোটা পূরণ করতে পারেনি। তবে এবার খরচ কমে আসায় আশাবাদী হজ সংশ্লিষ্টরা।