জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে গতকাল শুক্রবার নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের হোটেল স্যুটে এক উচ্চস্তরের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতারা অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ও তার অন্তর্বর্তী সরকারকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা এবং পরামর্শ প্রদানের অঙ্গীকার করেছেন।
বাংলাদেশের উন্নয়ন ও দারিদ্র্য দূরীকরণের ক্ষেত্রে অধ্যাপক ইউনূসের অবদানের প্রশংসা করে নেতারা বলেন, ‘আমরা অধ্যাপক ইউনূস ও বাংলাদেশের জনগণের পাশে আছি।’ তারা উল্লেখ করেন, দীর্ঘ ১৬ বছরের দুর্নীতি ও কু-শাসনের পর বাংলাদেশের সামনে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যার মোকাবেলায় অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকাকে তারা গুরুত্ব দিচ্ছেন।
বৈঠকে লাটভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিজামি গঞ্জাভি আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের (এনজিআইসি) সহসভাপতি ভাইরা ভিকে-ফ্রেইবারগার নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন। দলে ছিলেন স্লোভেনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বরুত পাহোর, সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বোরিস তাদিচ, বুলগেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট রোসেন প্লেভনেলিভ, ক্রোয়েশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো যোসিপোভিচ, মরিশাসের সাবেক প্রেসিডেন্ট আমিনা গুরিব-ফাকিমসহ অন্যান্য বিশ্ব নেতারা।
কমনওয়েলথের সাবেক মহাসচিব, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাবেক সভাপতি ও বিশ্বব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারাও বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া মানবাধিকার সংগঠন রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের প্রেসিডেন্ট কেরি কেনেডি, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) ও জর্জটাউন ইনস্টিটিউট ফর উইমেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ গত ১৬ বছর ধরে একটি দীর্ঘ ভূমিকম্পের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এখন সীমিত সম্পদের মধ্যেও জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করাই বড় চ্যালেঞ্জ। তরুণরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে এবং আমাদের তাদের স্বপ্ন পূরণে কাজ করতে হবে।’
তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনের সফলতায় সহযোগিতা ও নৈতিক সমর্থনের আহ্বান জানান।
সভায় এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।