বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, “বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। এটি হবে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর।”
তিনি জানান, ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের বিগত ১৪ মাসের সংস্কার উদ্যোগ, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টার বিস্তারিত তুলে ধরবেন।
প্রেস সচিব বলেন, “মৌলিক নির্বাচন ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে—এটাই আমাদের প্রধান বার্তা। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা নির্বাচনের প্রস্তুতি ও পদ্ধতিকে সমর্থন জানিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “সাম্প্রতিক ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনেই যেমন মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিয়েছে, তেমনি জাতীয় নির্বাচনেও জনগণের সেই অধিকার নিশ্চিত থাকবে।”
জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা সরকারের সার্বিক কর্মকাণ্ড, নির্বাচন প্রস্তুতি, বিচার প্রক্রিয়া এবং রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তুলে ধরবেন বলেও জানান তিনি।
এক প্রশ্নের উত্তরে শফিকুল আলম বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো দূরত্ব নেই। সরকার নিয়মিতভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসছে।”
আওয়ামী লীগের অতীত কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে আমরা দেখেছি তারা কীভাবে সহিংসতা ছড়িয়েছে। ১৫ বছরের শাসনে হত্যা, গুম, এবং মিথ্যা মামলার রাজত্ব কায়েম করেছিল। আজ সেই দলের অবস্থান কোথায়—তাদের আর কোনো বন্ধু নেই।”
প্রেস সচিবের ভাষ্যমতে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে, এবং আসন্ন নির্বাচন তারই একটি বড় প্রমাণ হতে যাচ্ছে।