এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বে দুর্দান্ত এক জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলংকার দেওয়া ১৬৮ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দল।
শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৫ রান। প্রথম বলেই জাকের আলি অনিক চার মেরে উত্তেজনা অনেকটাই কমিয়ে আনলেও, পরের তিন বলে দুই উইকেট হারিয়ে ম্যাচটি হয়ে ওঠে রোমাঞ্চকর। শেষ পর্যন্ত পঞ্চম বলে নাসুম আহমেদ সিঙ্গেল নিয়ে নিশ্চিত করেন জয়।
তানজিদ হাসান তামিম শুরুতেই শূন্য রানে ফিরলে চাপ তৈরি হয়। তবে ওপেনার সাইফ হাসান ও তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক লিটন দাস ৫৯ রানের জুটি গড়ে দলকে সামাল দেন। ১৬ বলে ২৩ রান করে লিটন ফিরলে ক্রিজে আসেন তাওহিদ হৃদয়।
দুজন মিলে গড়েন আরও এক শক্ত জুটি। সাইফ ৪৫ বলে ৬১ রান করে আউট হন—যার ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ৪টি ছক্কা। হৃদয় খেলেন ৩৭ বলে ৫৮ রানের মূল্যবান ইনিংস, যাতে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছয়। ম্যাচ যখন প্রায় বাংলাদেশের মুঠোয়, ঠিক তখনই নাটকীয় মোড় নেয় শেষ ওভারে।
জাকের আলি অনিক প্রথম বলে চার মারলেও দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বোল্ড হন। চতুর্থ বলে শেখ মাহেদি হাসানও আউট হয়ে গেলে উত্তেজনা চূড়ান্তে পৌঁছায়। শেষমেশ নাসুমের ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। শুরুটা ভালো না হলেও পঞ্চম ওভারে এসে তাসকিন আহমেদ ভাঙেন শ্রীলংকার ওপেনিং জুটি। এরপর কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে দেন শেখ মাহেদি হাসান।
মিডল অর্ডারে একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইনিংস আসে দাশুন শানাকার ব্যাট থেকে। তিনি ৩৭ বলে ৬টি ছক্কা ও ৩টি চারে করেন ৬৪ রান। ওপেনার মেন্ডিস করেন ২৫ বলে ৩৪, নিশাঙ্কা ১৫ বলে ২২ এবং আশালাঙ্কা ১২ বলে ২১ রান করেন।
শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৮ রান করে থামে শ্রীলংকা। বাংলাদেশের হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন দুর্দান্ত—৪ ওভারে মাত্র ২০ রানে তুলে নেন ৩টি উইকেট। শেখ মাহেদি ২৫ রানে নেন ২ উইকেট।
এই জয়ে সুপার ফোরে একটি মূল্যবান জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। পরবর্তী ম্যাচ দুটি পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে। ভারত শক্তির বিচারে এগিয়ে থাকলেও, পাকিস্তানকে কিছুদিন আগেই সিরিজে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সুপার ফোরে পাকিস্তানকে হারাতে পারলে সেমিফাইনালের সমীকরণ সহজ হবে লাল-সবুজদের জন্য।