প্রবাসে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ। তিনি জানান, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) লক থাকায় ভোটার হিসেবে অনলাইনে নিবন্ধন করার সুযোগ নেই।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ইসি সচিব। তিনি বলেন, “যাদের এনআইডি লক করা, তারা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন না। ফলে ভোটও দিতে পারবেন না।”
এর আগে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে নির্বাচন কমিশনের এনআইডি শাখার মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীরের নির্দেশে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের মোট ১০ সদস্যের এনআইডি লক করা হয়।
যাদের এনআইডি লক করা হয়েছে: শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ, শাহিন সিদ্দিক, বুশরা সিদ্দিক, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও তারিক আহমেদ সিদ্দিক।
ইসি সচিব জানান, বর্তমানে নির্বাচন কমিশন দেশ-বিদেশে বসবাসরত ভোটারদের জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে। এতে করে বিদেশে অবস্থানকারীরা এনআইডি নম্বর ব্যবহার করে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন এবং ভোট দিতে পারবেন। তবে লক অবস্থায় থাকা এনআইডি ব্যবহার করে এ পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, “পাসপোর্ট দিয়ে নয়, অনলাইন রেজিস্ট্রেশনে এনআইডিই বাধ্যতামূলক। ফলে যার এনআইডি লক করা থাকবে, তিনি কীভাবে নিবন্ধন করবেন? সেটি তো সম্ভব নয়।”
উল্লেখ্য, গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন দেশে অবস্থান শুরু করেন। বর্তমানে সরকার দলটির সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যদিও দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও অনেক নেতার ভোটাধিকার এখনো অক্ষুণ্ণ রয়েছে—তবে এনআইডি সচল থাকলেই তারা ভোট দিতে পারবেন।
তবে কতজন আওয়ামী লীগ নেতার এনআইডি লক করা হয়েছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেয়নি নির্বাচন কমিশন।