রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় উত্তেজিত জনতা কবর থেকে তুলে এক ব্যক্তির মরদেহ পুড়িয়ে দিয়েছে। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও এক সাংবাদিকসহ অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোয়ালন্দ পৌরসভার ঘোনাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম রাসেল মোল্লা (২৮), তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। রাসেল দেবগ্রামের বাসিন্দা আজাদ মোল্লার ছেলে।
ঘটনার সূত্রপাত জুমার নামাজের পর ‘ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি’র ব্যানারে আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিল থেকে। মিছিল শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা কথিত সুফি সাধক নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার বাড়িতে হামলা চালায়। এরপর তারা তার কবর খুঁড়ে মরদেহ উত্তোলন করে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড়ে এনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় তার অফিসের গাড়ি এবং পুলিশের দুটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব বলেন, ‘ঘোনাপাড়ায় নুরুল হকের বাড়ির গেট ভেঙে প্রবেশ করে বিক্ষোভকারীরা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’
ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “এটি একটি অমানবিক ও ঘৃণ্য ঘটনা। যারা এ জঘন্য অপরাধে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ নিশ্চিত করা হবে।”