আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে দেড় লাখেরও বেশি পুলিশ সদস্যকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা।
শুক্রবার পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কাজী জিয়া উদ্দিন রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসস-কে জানান, “একটি শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা দেড় লাখ বা তার চেয়েও বেশি পুলিশ সদস্যকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, আসন্ন নির্বাচন দেশের ইতিহাসে একটি ‘মাইলফলক’ হয়ে থাকবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগ গত তিন মাসে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়ে মোট ৯টি প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি করেছে। এই কোর্সগুলো পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআর)-এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছে।
জিয়া উদ্দিন বলেন, “প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়ায় বাস্তবমুখী মহড়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে পুলিশ সদস্যরা নির্বাচনকালীন যেকোনো আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারেন।”
সারাদেশে পুলিশের ১৩০টি ছোট এবং চারটি বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে দুটি প্রামাণ্যচিত্র, একটি ১৫ মিনিটের অডিও-ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, একটি ৯ মিনিটের ফিল্ম এবং একটি তথ্যবহুল বুকলেট তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়া গত ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় ১৫০ জন মাস্টার ট্রেইনারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগামীতে আরও ১ হাজার ২৯২ জন ‘ট্রেইনার অব ট্রেইনার্স’ (ToT) প্রস্তুত করার পরিকল্পনা রয়েছে, যারা মাঠপর্যায়ে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেবেন।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলে জানান ডিআইজি জিয়া।
তিনি বলেন, “নির্বাচনকেন্দ্রিক যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকবে — এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি তারই একটি বড় অংশ।”