পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শতদ্রু, রাভি ও চেনাব নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিয়েছে। ভারী বর্ষণের পাশাপাশি ভারত থেকে দুটি বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়ায় নদীগুলো প্লাবিত হয়ে গেছে, ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল ডুবে গেছে পানিতে।
এ পর্যন্ত বন্যায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন। এছাড়া লাখ লাখ একর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে এবং বিপুল পরিমাণ অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ বাধ্য হয়েছেন ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে।
পাঞ্জাবের মধ্যাঞ্চলের শিয়ালকোট, নারওয়াল, হাফিজাবাদ, সারগোদা, লাহোর, কাসুর, ওকারা, গুজরানওয়ালা ও ফয়সালাবাদে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
গুজরানওয়ালার কমিশনার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ৫ জন শিয়ালকোটে, ৪ জন গুজরাটে, ৩ জন নারওয়ালে, ২ জন হাফিজাবাদে ও ১ জন গুজরানওয়ালায় প্রাণ হারিয়েছেন।
চলতি বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানে বন্যাজনিত কারণে ৮০০-র বেশি মানুষ মারা গেছেন, যার অর্ধেক মৃত্যুই ঘটেছে আগস্ট মাসে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ১.৫ লাখের বেশি মানুষ ও ৩৫ হাজার গবাদিপশুকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পাঞ্জাব সরকার জানায়, এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এবারের বর্ষায় পাকিস্তানে মৃত্যুর হার গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তিনগুণ বেশি।