২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচন সামনে রেখে ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ কাজকে প্রাধান্য দিয়ে বিস্তারিত রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে এই রোডম্যাপ প্রকাশ করেন।
রোডম্যাপ অনুযায়ী, চলতি বছরের ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। তফসিল ঘোষণার প্রায় দুই মাস পর হবে ভোটগ্রহণ। নির্বাচনের আগেই সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ, রাজনৈতিক দল ও দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
নির্বাচনী কার্যক্রম সফল করতে যেসব বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে:
* সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ
* ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও চূড়ান্তকরণ
* রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন
* নির্বাচনী আইন ও বিধিমালার সংশোধন
* পোস্টাল ভোটিং এবং ব্যালট ব্যবস্থা উন্নয়ন
* নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা কার্যক্রম
* নির্বাচনী কর্মী প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম সংগ্রহ
* ফলাফল ব্যবস্থাপনা ও প্রচার
সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে দেড় মাসব্যাপী চলবে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ। মধ্য সেপ্টেম্বর নাগাদ প্রাথমিক দল নিবন্ধন সম্পন্ন করে চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে মাসের শেষেই।
৩১ আগস্ট দ্বিতীয় ধাপের খসড়া চূড়ান্ত করা হবে। এরপর ৩১ অক্টোবরের তালিকা হালনাগাদ শেষে ৩০ নভেম্বর প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (RPO), ভোটার তালিকা আইন, সীমানা নির্ধারণ আইনসহ একাধিক আইন ও নীতিমালা সংশোধনের কাজ চলমান রয়েছে। এসব কাজ ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম, পোস্টাল ভোটিংয়ের সফটওয়্যার, মোবাইল অ্যাপ ও ট্র্যাকিং মডিউল অক্টোবরে চূড়ান্ত করা হবে। প্রবাসীদের জন্য নভেম্বরেই পাঠানো হবে ব্যালট পেপার। কারাবন্দীদের ব্যালট যাবে ভোটের দুই সপ্তাহ আগে।
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত প্রস্তুতি শুরু হবে সেপ্টেম্বরে। তফসিল ঘোষণার আগ ও পরে চলবে নিয়মিত বৈঠক।
প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, নির্বাচন হবে রমজানের আগেই। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হবে।