আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভোটের অনুপাত ভিত্তিক (পিআর) পদ্ধতিতে হওয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহের। তিনি বলেন, “জামায়াত নির্বাচন চায়, ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান নয়।” একইসঙ্গে বিএনপির উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন—“পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে এত ভয় কেন? আপনারা তো বড় দল, জনগণ যদি আপনাদের পক্ষে থাকে, তাহলে পিআরেও জিতবেন।”
রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিআর পদ্ধতির আবশ্যকতা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। জামায়াতপন্থি প্রকৌশলী সংগঠন দি ফোরাম অব ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্টস, বাংলাদেশ সেমিনারটির আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা। বক্তৃতা করেন জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ প্রকৌশলী জাহিদুজ্জামান তানভীনের পিতা প্রকৌশলী শামসুজ্জামান এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ার পোস্ট-ডক্টরাল ফেলো ড. শিব্বির আহমেদ।
ডা. তাহের বলেন, “পুরনো পদ্ধতির নির্বাচন ও বিদেশিদের প্রেসক্রিপশন মেনে চলার জন্য ছাত্র-জনতা রক্ত দেননি। জনগণের দাবি—সংস্কার আগে, নির্বাচন পরে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন আয়োজনের কথা বললেও, এখনও তার স্পষ্টতা দেখা যাচ্ছে না।”
একইদিনে জাতীয় প্রেসক্লাবে আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের আয়োজিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ এর আইনি ভিত্তি’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায়ও বক্তব্য রাখেন ডা. তাহের। তিনি বলেন, “যদি এই সনদ বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে আবারও দেশে ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে। যারা সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায়, তারাই মূলত পুরোনো স্বৈরাচার ফিরিয়ে আনতে চায়।”
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নূর বলেন, “গণঅভ্যুত্থানকে সংবিধানিক স্বীকৃতি না দিলে ভবিষ্যতে স্বৈরতন্ত্রের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। তাই জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
গোলটেবিল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম কোরবান আলী। সার্বিকভাবে আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা পিআর পদ্ধতির নির্বাচনকে আগামী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সুশাসনের পূর্বশর্ত হিসেবে উল্লেখ করেন।